কংগ্রেসে ভাঙন গোয়ার পরে এবার উত্তর প্রদেশে, মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠের
গোয়ার পরে এবার উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) কংগ্রেসে (Congress) ভাঙন। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতিতে গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ ললিতেশপতি ত্রিপাঠিসহ (laliteshpati tripathi) দুই নেতা তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগদান করেন। এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, জনসেবাও গুরুত্বপূর্ণ।

তৃণমূলে যোগদান উত্তর প্রদেশের দুই কংগ্রেস নেতার
এদিন শিলিগুড়িতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেছেন উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের দুই নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠি এবং ললিতপতি ত্রিপাঠি। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। এঁদের হাত ধরেই উত্তর প্রদেশে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধি হবে বলে আশা ঘাসফুল শিবিরের। প্রসঙ্গত ললিতপতি ত্রিপাঠি উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সহসভাপতির পদে ছিলেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। সেই সময় থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।

ললিতপতি ত্রিপাঠি গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ ছিলেন
ললিতপতি ত্রিপাঠি গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। তিনি উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন বিধায়কও বটে। ললিতপতি ত্রিপাঠির অপর পরিচয় হল একটা সময়ে কংগ্রেস সভাপতি থাকা কমলাপতি ত্রিপাঠির নাতি। কমলাপতি ত্রিপাঠি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। মির্জাপুর-বারানসীতে তাদের একটা সমর্থনের ভিত্তিও রয়েছে। ললিতপতি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর টিমেরও সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন।

মমতা যাবেন বারানসী, পুজোও দেবেন
তৃণমূলে যোগ দিয়ে ললিতেশপতি ত্রিপাঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারানসীতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। প্রসঙ্গত বারানসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছটপুজোর পরে তিনি সময় বের করে বারানসী যাবেন, সেখানে পুজোও দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু তিনিই নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও উত্তর প্রদেশে যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ললিতপতির তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি কংগ্রেস ভাঙিয়ে কাউকে নেননি। কংগ্রেস ত্যাগ করার পরেই তিনি ললিতপতিকে দলে নিয়েছেন।

সংগঠন বিস্তারে ব্যস্ত তৃণমূল
তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসা ছিল তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জের। কিন্তু তৃণমূল হেলায় সেই চ্যালেঞ্জ জয় করেছে। এরপরেই তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলের সম্প্রসারণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে সেই বিস্তারের বেশিরভাগই কংগ্রেস ভাঙিয়ে। ত্রিপুরার পাশাপাশি অসমে সংগঠন বৃদ্ধি করতে গিয়ে তৃণমূল দলে নেয় রাহুল গান্ধীর কাছের বলে পরিচিত সুম্মিতা দেবকে। কংগ্রেস ভাঙিয়ে ত্রিপুরায় সংগঠন শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চালানোর পরেই তারা গোয়ার দিকে পা বাড়ায়। সেখানেই কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের বিধায়ক লুইজিনো ফেলেইরো তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর ২৮ অক্টোবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন সেখানে। সেই সময় অনেক কংগ্রেস নেতা ও কর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূল ললিতেশপতি ত্রিপাঠির বাবা রাজেশপতিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে।