উৎসবের মরশুমে দেশে বাড়ছে সংক্রমণ, কোভিড ওয়ার্ড পুনরায় চালু একাধিক হাসপাতালে
রবিবার সক্রিয় করোনা ভাইরাসের কেস হ্রাস পেয়ে ১,৭২,৫৯৪–তে নেমে আসলেও দেশের একাধিক হাসপাতাল পুনরায় তাদের কোভিড–১৯ ওয়ার্ড চালু করে দিয়েছে। কারণ চলতি উৎসবের মরশুমের মধ্যে এই সপ্তাহে ২০–২৫ শতাংশ নতুন করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই উৎসবের মরশুমে সকলকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বারংবার।

উৎসবের মরশুমে বাড়ছে করোনা কেস
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে যেখানে সংক্রমণের হার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছিল, গত এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা কেস সেখানে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র ১ শতাংশের করোনা কেসের পতন রেকর্ড করে, দেশটি এই সপ্তাহে আগের সাত দিনের মতো প্রায় একই সংখ্যক মামলার রিপোর্ট করেছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা কেসের সংখ্যা ৪১ শতাংশ ও অসমে ৪২ শতাংশ কেস বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন যে আগামী দুই-তিন সপ্তাহ ‘গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং সংক্রমণের প্রকৃত প্রকাশ তার পরেই শুরু হবে।' তবে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের এটাও স্বীকার করেছেন যে করোনা ভ্যাকসিন এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে এবং গুরুতর কেসগুলির সংখ্যা অনেক কম হবে।

হ্রাস পেয়েছে সক্রিয় করোনার সংখ্যা
রবিবার ভারতে নতুন করে করোনা কেস ধরা পড়েছে ১৫,৯০৬ আর এই নিয়ে মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩,৪১,৭৫,৪৬৮ এবং সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ১,৭২,৫৯৪। রবিবার দৈনিক মৃত্যু হয়েছে ৬৬৬টি, এই নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছালো ৪,৫৩,৭০৮-এ। আগের সময়ের মৃত্যুর সঙ্গে শনিবার নতুন করে ২৯২টি মৃত্যু যোগ করা হয়েছে কেরলে। এখন এ রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে সরকারিভাবে জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কেরলে।

করোনার কেস বৃদ্ধি কমেছে
এখানে উল্লেখ্য, দেশে টানা ২৯ দিন ধরে নতুন করোনা ভাইরাসের কেস বৃদ্ধি ৩০ হাজারের নীচে রয়েছে এবং ১১৮ দিন ধরে দৈনিক নতুন করোনা ভাইরাসের কেস ৫০ হাজারের নীচে রয়েছে। সক্রিয় করোনা কেস হ্রাস পেয়ে ১,৭৩,৭২৮-এ এসে ঠেকেছে, যা মোট সংক্রমণের ০.৫১ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে এটা অনেক কম। জাতীয় কোভিড-১৯ সুস্থতার হার ৯৮.১৬ শতাংশ রেকর্ড হয়েছে, যা গত বছরের মার্চ থেকে সর্বাধিক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সক্রিয় করোনা সংখ্যার ২,০১৭টি কেস হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

টিকাকরণ ও করোনা পরীক্ষা
শুক্রবারই দেশে করোনা ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে ১৩,৬৪,৬৮১টি আর এই নিয়ে দেশজুড়ে করোনা সনাক্ত করার টেস্ট হয়েছে ৫৯,৮৪,৩১,১৬২টি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, দৈনিক পজিটিভ হার ১.২০ শতাংশ রেকর্ড হয়েছে এবং সাপ্তাহিক পজিটিভ হার রেকর্ড হয়েছে ১.২৪ শতাংশ। এরই মধ্যে দেশজুড়ে কোভিড-১৯ টিকাকরণ কর্মসূচি গিয়ে পৌঁছেছে ১০১.৩০ কোটিতে।