লিটন-লাহিরু কথা কাটাকাটিতে উত্তপ্ত শারজা! নঈম-রহিমের অর্ধশতরানে শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের
টি ২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সামনে জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে মাহমুদুল্লাহর দল। সর্বাধিক ৬২ রান করেছেন মহম্মদ নঈম। ৩৭ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম।

শারজায় টি ২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ১-এর খেলায় আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকা। বাংলাদেশের ওপেনাররা পজিটিভ ব্যাটং করতে থাকেন শুরু থেকেই। ৫.৫ ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে ৪০ রানের মাথায়। ১৬ বলে ১৬ রান করে লাহিরু কুমারাকে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে দাসুন শনকার হাতে ক্যাচ দেন লিটন দাস। প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে তিনি লাহিরুর সঙ্গে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের রান ছিল ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪১। শাকিব আল হাসানও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন। ৬.৩ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। ৭.৪ ওভারে শাকিব চামিকা করুণারত্নের বলে বোল্ড হন ৭ বলে ১০ রান করে। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মহম্মদ নঈম ও মুশফিকুর রহিম। ১৩.৪ ওভারে বাংলাদেশের ১০০ রান পূর্ণ হয়। এরপর ৪৪ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন নঈম।

১৬.১ ওভারে নঈম বিনুরা ফার্নান্দোর বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫২ বলে ৬২ করেন তিনি। ১৮.১ ওভারে বাংলাদেশ দেড়শোর গণ্ডি স্পর্শ করে। নঈমের পর দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর অর্ধশতরান আসে মাত্র ৩২ বলে। ১৮.৩ ওভারে ১৫০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। সাত রানে রান আউট হন আফিফ হোসেন। এরপর আর বাংলাদেশের কোনও উইকেট পড়েনি। টি ২০ বিশ্বকাপে প্রথম অর্ধশতরান পেয়ে খুশি মুশফিকুর। তিনি বলেন, আইপিএলে শারজায় ১৪০ গড় স্কোর ছিল। তবে আজকের উইকেটটা বেশ ভালো। মনে হচ্ছে, পর্যাপ্ত রানই আমরা তুলতে সক্ষম হয়েছি। তবে প্রথম ৬ ওভার গুরুত্বপূর্ণ হবে।
Bangladesh end up with a score of 171/4.
— T20 World Cup (@T20WorldCup) October 24, 2021
Will their bowlers defend this? #T20WorldCup | #SLvBAN | https://t.co/msiJ66VBxr pic.twitter.com/w38HCvsHxD
শ্রীলঙ্কার সাতজন এদিন বোলিং করেছেন। চামিকা করুণারত্নে তিন ওভারে ১২ রানে একটি উইকেট পান। বিনুরা ফার্নান্দো ৩ ওভারে ২৭ রান খরচ করে একটি উইকেট পেয়েছেন। লাহিরু কুমারা ১টি উইকেট পান ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে। দুষ্মন্ত চামিরা চার ওভারে ৪১ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। চরিথ আসালঙ্কা ১ ওভারে ১৪ রান দেন। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাও এদিন উইকেট পাননি, তিন ওভারে ২৯ রান দেন তিনি।