India-vs-Pakistan: ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পথ আদৌও মসৃণ নয় পাকিস্তানের কাছে! কেন জানেন?
রবিবার দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহারণে মুখোমুখি ভারত পাকিস্তান। বেশ কয়েক বছর পর আবারও ভারত-পাক বাইশগজের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে পুরো বিশ্ব। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসার আগে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানে খেলতে যেতে অস্বীকার করেছে৷

গত কয়েক মাসে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মতো দলগুলি পাকিস্তান সফর প্রত্যাহার করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে উদ্বোধনী ম্যাচের কয়েক মিনিট আগে তাদের সরকারের নিরাপত্তা সতর্কতার উদ্ধৃতি দিয়ে আকস্মিকভাবে সফর পরিত্যাগ করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছে।
খেলোয়াড়দের 'মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার' কথা উল্লেখ করে ইংল্যান্ডও তাদের পুরুষ ও মহিলা দলের পাকিস্তান সফর বাতিল করেছে। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে প্রাণঘাতী হামলার পর পাকিস্তানকে প্রায় এক দশক ধরে অন্যান্য ক্রিকেটিং দেশগুলিকে এড়িয়ে চলেছিল।
কিন্তু সম্প্রতি ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো আন্তর্জাতিক দলগুলি পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। এবং এখানেই শেষ নয় পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক এবং তার বিশ্বস্ত সহকারী ওয়াকার ইউনিস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য পাক ক্রিকেট স্কোয়াড ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।
পাকিস্তানের ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এক দশক প্রচেষ্টার পর প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানও নিজের ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আরেকটি পদত্যাগ সহ্য করতে হয় পাকিস্তান দলকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে সরফরাজ আহমেদ, হায়দার আলী এবং ফখর জামানকে আনা হয় দলে।
যেখানে উইকেটরক্ষক সরফরাজ এবং ব্যাটসম্যান হায়দর যথাক্রমে আজম খান এবং মোহাম্মদ হাসনাইনের জায়গাতে এসেছেন, যেখানে ওপেনার ফখরকে মূলত ট্র্যাভেল রিজার্ভ হিসাবে নেওয়া হয়েছে, খুশদিল শাহের জায়গায় এসেছেন। কিন্তু পাকিস্তান প্রায়শই অশান্তির মধ্য দিয়ে উন্নতির পথ খোঁজা চেষ্টা করেছে৷ তারা পুরো ২০২১ নয়টি জয়ে মাত্র পাঁচবার হেরেছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (দুবার), জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং ইংল্যান্ডে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ এ হেরে যাওয়া।
ভয়ঙ্কর বোলিং আক্রমণ, বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে কয়েকজন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত, বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাক দল আবারও শিরোপার জয়ের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তান তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে.