মমতাই মোদীর সব থেকে বড় দালাল! ইডির তলবের পরেই 'চুক্তি', বিস্ফোরক অধীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং তাঁর দল তৃণমূল (trinamool congress) এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সব থেকে বড় দালাল। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। অভিষেকের কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। বিজেপিকে খুশি করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য বলে কটাক্ষ করেছেন অধীর।

বিরোধী জোটে বাধা
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, মোদীকে সরাতে দরকার বিরোধী জোট। সারা দেশে ৬৩ শতাংশ ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ৬৩ শতাংশের মধ্যে কংগ্রেসের ভোট ২০ শতাংশের মতো। তৃণমূলের ভোট ৪ শতাংশ। এই ৪ শতাংশ ভোটের পুরোটাই বাংলার। কিন্তু কংগ্রেসকে দুর্বল করতে কংগ্রেসকে ভোট না দিতে যে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে সব থেকে বেশি লাভ বিজেপির। তিনি দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না। কিন্তু কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী ২০১৯-এর ভোটের কথা উল্লেখ করেন। সেই ভোটে বিজেপি সারা দেশে ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

বাংলা আমার, দিল্লি তোমার
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ মোদী ও মমতার মধ্যে ইতিমধ্যেই চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বাংলা মমতার আর দিল্লি মোদীর। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে খুশি করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য বলেও মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে বিরোধী জোট গঠনের কথা বলে ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ নিয়ে অধীর চৌধুরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিমুখি নীতির সমালোচনা করেন।

মমতার ঘরে (দলে) চোর ডাকাত
অধীর চৌধুরী বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে (এখানে দলে) চোর ডাকাত রয়েছে। তাদের যদি বিজেপি ধরার ব্যবস্থা করে, তাহলে খারাপ অবস্থা হবে তৃণমূলের। কিন্তু বিজেপি জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন, তারা সুবিধা পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতানেত্রীদের বিজেপি চায়। বিজেপি চায় যাতে বিরোধী জোট না গড়ে ওঠে। যাতে দালালিতে সাহায্য করতে পারেন। সেই জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সব থেকে বড় দালালদের মধ্যে একজন।

সনিয়ার বৈঠকে গিয়েছিলেন মমতা
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, সনিয়া গান্ধী বিরোধীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছিলেন। তিনি গিয়েওছিলেন। কিন্তু ইডি সমন পাঠানোর পরে পরিস্থিতি বদলে যায়। ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির দফতর থেকে বেরনোর পরেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছেন অভিষেক। বিজেপির হুমকিতেই এই পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন অধীর। সেই কারণে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনিয়া গান্ধীর ডাকে সামিল হয়েছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, মোদীজি জানেন, যদি বিরোধীরা একজোট হয়ে যায়, তার সব থেকে বড় প্রভাব পড়বে বিজেপির ওপরে।