ফের মোদী সরকারের কৃষি নীতি নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ গান্ধী
ফের কেন্দ্রীর কৃষি নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বরুণ গান্ধী। প্রকাশ্যেই তিনি বলেছেন, মোদী সরকারের উচিত কৃষি নীতি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যেই যোগী সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। দোষীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সরাসরি যোগীকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। তারপরেই বিজেপির ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় বরুন গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীকে।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন উত্তর প্রদেশে। তারমধ্যেই বেসুরো হতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা। টুইটে লখিমপুর েখরির ভিডিও শেয়ার করেছেন। তারপরেই সেই ভিডিওর নীচে বরুণ গান্ধী লিখেছেন এই কৃষকদের জমির ধান জোর করে জ্বালিয়ে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। মোদী সরতারের উচিত কৃষি আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা। ভিডিটি শেয়ার করে বরুণ গান্ধী লিখেছেন, উত্তর প্রদেশের এই কৃষক গত ১৫ দিন ধরে চাইছেন নিজের ফসল বিক্রি করতে। কিন্তু কিছুতেই সেটা করে উঠতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই নিজের ফসলে নিজেইআগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।এমনই করুন পরিস্থিতি কৃষকদের।
ভিডিওটি শেয়ার করে বরুণ গান্ধী লিখেছেন সরকারের উচিত কৃষিনীতির পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কৃষকদের হয়ে কথা বলেছেন বরুণ গান্ধী। হঠাৎ করে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বরুণ গান্ধীর এই বেসরো আচরণ নজর টেনেছে রাজনৈতিক মহলেরও।তারপরেই বিজেপির ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি থেকে বরুণ গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাদ পড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে বরুণ গান্ধাী টল বিহারী গান্ধীর জমানার প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন অটল বিহারীর জমানায় কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভাবত মোদী সরকার। এক প্রকার প্রকাশ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর উস্কে দিয়েছিলেন তিনি। লখিমপুর খেরি নিয়েও বরুণ গান্ধীর প্রকাশ্যে মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছিল যোগী সরকারকে।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র।তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। আশিস মিশ্রই নাকি বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে কৃষকদের হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ। সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে আশিস মিশ্রর গ্রেফতারি দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও গ্রেফতার করা হয়নি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও ভর্ৎসনার শিকার হতে হয়েছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সিটের কাছে হাজিরা দিলেও নিজে নির্দোষ বলে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন আশিস মিশ্র। তিনি দাবি করেছেন ঘটনার দিন সেখানে ছিলেন না তিনি। মন্ত্রী নিজেও দাবি করেছিলেন ঘটনার দিন সেখানে ছিলেন না তাঁর ছেলে। এদিকে এই ঘটনায় যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা মন্ত্রীরছেলের সহযোগী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।