তৃণমূলের নজর ১৫ রাজ্যের দিকে, ৫ রাজ্যে নির্বাচনের মুখে টার্গেট ফিক্সড অভিষেকের
বাংলায় হ্যাটট্রিকের সরকার গড়েই তৃণমূল কংগ্রেস সাম্রাজ্যবিস্তারে নেমেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা গোয়া এবং ত্রিপুরা ছাড়া অন্য পাঁচটি রাজ্যে তাদের ভিত্তি প্রসারিত করবে। তিনমাসের টার্গেট রয়েছে, যেখানে তৃণমূল ইতিমধ্যেই তারা পা রাখতে সক্ষম হয়েছে, সেই রাজ্যে ঘাঁটি গাড়া। আর আগামী ১ বছরের মধ্যে অন্তত ১৫টি রাজ্যে ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন অভিষেক।

এক বছরের মধ্যে ১২ থেকে ১৫টি রাজ্যে ইউনিট তৃণমূলের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্যো।আপাধ্যায় তাঁর ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের বার্তা দিয়েছেন তাঁর দল নিয়ে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ত্রিপুরা এবং গোয়া পৌঁছে গিয়েছি। দলটি আগামী তিন মাসে উত্তরপ্রদেশ ও মেঘালয়-সহ পাঁচটি রাজ্যে তাদের ভিত্তি প্রসারিত করবে। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা ১২ থেকে ১৫টি রাজ্যে ওয়ার্কিং ইউনিট স্থাপন করব।

কোন কোন রাজ্যে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা নামবে তৃণমূল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গোয়া, গুজরাট, ত্রিপুরা এবং উত্তরপ্রদেশে এবার তাঁরা নির্বাচনী প্রতিযোগিতা নামবে এবং তাক লাগানো ফল করবে। এদিন তিনি উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহে একটি প্রচার সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। খড়দহে ৩০ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের অন্য তিনটি বিধানসভা আসনের সঙ্গে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগের দিন তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় আরেকটি জনসভা করেছিলেন।

গোয়ায় তৃণমূলের লক্ষ্য মমতার সফরে স্পষ্ট
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৮ অক্টোবর থেকে গোয়া রাজ্যে প্রথম দুই দিনের সফরের ঠিক আগে অভিষেকের এই বিবৃতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরই মধ্যে গোয়া নিয়ে টুইট করে জল্পনা বাড়িয়েছেন। তৃণমূল যে এখানে নির্বাচনী উলটপুরান ঘটানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এসেছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরই তার প্রমাণ।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা মতো সাম্রাজ্য বিস্তার
২০২১-এর জুন মাসের শুরুতে, দলের জাতীয় মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মোকাবিলা করার জন্য দলটি অন্যান্য রাজ্যে তার সংগঠন বাড়াবে। নতুন ইউনিট খুলবে। সেইমতো তৃণমূল ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে প্রসার বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে।

বাংলায় আরও বড় প্রাপ্তির দিতে তাকিয়ে তৃণমূল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করেছিল যে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে দলটি ২০০টিরও বেশি আসন জিতবে। কিন্তু তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফিরে তৃণমূল প্রমাণ করে দিয়েছে মমতা ক্যারিশ্মায় টিকবে না মোদী-শাহদের ‘বাহাদুরি'। ২৯২টির মধ্যে ২১৩টিতে জয়ী হয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। পরে উপনির্বাচনে আরও দুটি আসনে তারা জয়যুক্ত হয়। দলটি এখন চারটি বিধানসভা আসনের দিকে তাকিয়ে আছে উপনির্বাচনের আগে।

দলবদল সম্পর্কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক আরও বলেন, "ইতিমধ্যে ৫ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আমরা যদি আমাদের দরজা খুলে দিই তাহলে পরের দিন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা কোনও বিশ্বাসঘাতককে টিএমসিতে যোগ দেওয়ার পক্ষে নয়। আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রেখেছি। যারা যোগদান করেছে তাদের অনেক প্রায়শ্চিত্তের পরে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।