তৃণমূলে ফিরতে ইচ্ছুক দলত্যাগী নেতাদের ‘বার্তা’ দিলেন অভিষেক, কোন দিকে গড়াচ্ছে জল
একুশের নির্বাচনে জিতে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলত্যাগী নেতারা ঘরওয়াপসির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। কিন্তু অনেকের জন্য তৃণমূল দরজা খুললেও, অনেকের জন্য দরজা এখনও খোলেনি বাংলার শাসক দল। তাঁদের অনেকেই মুখিয়ে রয়েছেন তৃণমূলে ফেরার জন্য। অনেকে আবেদনও করে বসে আছেন। তাঁদের সবার জন্যই তাৎপর্যপূর্ বার্তা দিলেন অভিষেক।

সবাইকে আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না!
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। কর্মীদের এ বিষয়ে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমি নিজে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ধরে অনুরোধ করেছি, কর্মীদের দুঃখ দিয়ে যেন সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া না হয়।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের তাহলে কী হবে?
ইতিমধ্যে অনেককে দলে ফেরানো হয়েছে। তাঁদের প্রায়শ্চিত্ত করেয়েই ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে তৃণমূলে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূল ফিরতে চাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাহলে কী হবে? কী হবে আবেদনকারী অন্য নেতা-নেত্রীদের ভবিষ্যৎ? খড়দহে অভিষেকের ভাষণে স্পষ্ট তৃণমূলে রাজীবদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কর্মীদের উপর।

মমতার সমীপেও একই বার্তা অভিষেকের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আগে বলেছিলেন, সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে কর্মীদের। এখন অভিষেকও সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। মমতার সমীপেও তিনি একই বার্তা দিয়েছে, তা আবার তিনি প্রকাশ্য জনসভায় শুনিয়ে দিলেন। তাঁর এই বার্তার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেরই অলুব্ধা হয়ে গেল তৃণমূলে ফিরতে।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরওয়াপসি নিয়েই বেশি চর্চা
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলে ফেরার জন্য তদ্বির শুরু করার পর তাঁর বিরুদ্ধে হাওড়ায় মিছিল করেছিলেন তৃণমূলের নিচুতলার নেতা-নেত্রীরা। তাতেই কেঁচে যায় ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার বিষয়টি। মুকুল রায় দলে আসার পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরওয়াপসি নিয়েই বেশি চর্চা হয়। কিন্তু রাজীবের ঘরে ফেরা হয়নি।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে টপকে সব্যসাচী তৃণমূলে
এখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে টপকে সব্যসাচী দত্ত ফিরে এলেন তৃণমূল। মুকুল রায়ের ডানহাত বলে রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত তিনি। তাঁর তৃণমূল যোগের পিছনে মুকুল রায়ের হাত আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সব্যসাচীকে নিয়েও তৃণমূলের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ ধামাচাপা দিয়ে তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হল সব্যসাচী দত্তকে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়েও রাজীব অন্ধকারে
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বন্দনা করেও রাজীব স্থান পেলেন না। যিনি কি না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে দল ছেড়েছিলেন, তৃণমূল ছাড়তে হওয়ায় কেঁদে ভাসিয়েছিলেন, তিনিই এখন ঢোকোরা সুযোগ পেলেন না। আসলে রাজীবকে নিয়ে জেলার কোন্জলই এখন বড় হয়ে উঠেছে। নইলে মমতা বা অভিষেকের তরফে তেমন কোনও সমস্যা নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।