বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নীতি বিরুদ্ধ কাজ করেছেন, যোগেন্দ্র যাদবকে সাসপেন্ড করল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
লখিমপুর েখরিতে কৃষক আন্দোলনে ঘটনায় নতুন মোড়। বিজেপি কর্মীর বাড়ি যাওয়ায় দল থেকে সাসপেন্ড করা হল যোগেন্দ্র যাদবকে। লখিমপুর খেরির ঘটনায় মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন যোগেন্দ্র যাদব। সেই কারনেই তাঁকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। বৃহস্পতিবার মোর্চার বৈঠকে এই কথা ঘোষণা করা হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যোগেন্দ্র যাদব নিজে।

লখিমপুর খেরিতে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্তি চরমে উঠেছে। আন্দোলনরত কৃষকদের উপরে গাড়ি চালিয়ে ৮ জনকে পিষে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে। তাঁকে গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল লখিমপুর। সুপ্রিম কোর্টও এই নিয়ে যোগী প্রশাসনকে প্রশ্ন করেছে। এই ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীরও মৃত্যু হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেই মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন যোগেন্দ্র যাদব। শুভম মিশ্র নামে মৃত সেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। যোগেন্দ্র যাদবের এই পদক্ষেপে প্রবল আপত্তি জানিয়েই তাঁকে ১ মাসের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
এদিকে আবার লখিমপুরের ঘটনায় ধৃত ৪ জনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে স্থানীয় আদালত। সুমিত জয়সোয়াল, সত্য প্রকাশ ত্রিপাঠি,নন্দন সিং বিস্তা, শিশু পাল এই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিকোনিয়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ১৯ অক্টোবর গ্রেফতারের পর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। আদালত আজ তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ধৃতদের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রর সহযোগী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার দিন তিনি সেখানে ছিলেন না বলে উত্তর প্রদেশ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে ভিডিও ফুটেজের প্রমাণ দিয়ে এসেছেন মন্ত্রী পুত্র। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিকে সিংঘু সীমান্তে দলিত শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সুপ্রিম কোর্টের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছে কিষাণ মোর্চা। এরই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং কৈলাশ চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। কারণ এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে যুক্ত নিহাং শিখ নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরেই সিংঘু সীমান্তে এই নিয়ে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। কেন দলিত শ্রমিককে হত্যা করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।