FATF ধুসর তালিকায় বহাল পাকিস্তান, নতুন সংযোজন তুরস্ক
ধুসর তালিকা মুক্ত হওয়া হল না পাকিস্তানের। এফএএফটি-র ধুসর তালিকাতেই রয়ে গেল ইমরান খানের পাকিস্তান। তবে এবার আবার নাম জুড়েছে আরেক দেশের। তুরস্কর। তালিবানদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক। সেই সমর্থনই বোধ হয় কাল হল তুরস্কের। পাকিস্তান তুরস্কের পাশাপাশি জর্ডন এবং মালিও এফএএফটির ধুসর তালিকায় যুক্ত হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত এবং দুর্নীতি রোধে ব্যর্থতার কারণে এফএএফটি তাঁকে ধুসর তালিকা রাখা হয়েছিল পাকিস্তানকে। ইমরান সরকার বারবার দাবি করলেও সংস্থার পক্ষ থেকে ইসলামাবাদে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। কিন্তু তাতেও পাকিস্তান প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা সন্ত্রাসবাদকে আর্থিক মদত দিচ্ছে না। হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহারদের পাকিস্তানে বাড়বাড়ন্ত সবটাই আর্থিক জোরে হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রপুঞ্জ এই দই ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করেছে। তারপরেই তারা পাকিস্তানের আশ্রয়ে নিরাপদে রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ধুসর তালিকায় রয়েছে তারা। সেখান থেকে দেশকে মুক্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ইমরান খান সরকারকে। কিন্তু সেটা করতে পারেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গত দু বছর ধরে পাকিস্তান চেষ্টা করেছে নিজেদের প্রমাণ করার। কিন্তু একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা পাকিস্তানকে কোনঠাসা করেছে। নিজেদের ধুসর তালিকা মুক্ত করতে পাকিস্তান আমেরিকা সফরেও গিয়েছিলেন এমনকী চিনে গিয়েও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেননি। ধুসর তালিকার ভুক্ত হওয়ার কারণে আইএমএফ(IMF),বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মত একাধিক ক্ষেত্রের আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করেছে পাকিস্তান। বিপুল আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। পরিস্থিতি এতটাই সংকট জনক যে শীঘ্রই চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে দেশতে দেউলিয়া অবস্থা থেকে বাঁচাতে চিনের শরণাপন্ন হয়েছে পাকিস্তান। এদিকে আবার তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্কের কারণে সন্ত্রাসবাদ ফের মাথাচারা দিতে শুরু করেছে। এই কারণে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জায়গায় যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি এভাবেই পর পর ধুসর তািলকায় থেকে যায় পাকিস্তান তাহলে আর বেশিদিন থাকবে না যখন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে পাকিস্তানকে।
এবার থেকে তুরস্কও সেই জায়গায় যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তুরস্কও মুসলিম দেশ। সম্প্রতি তুরস্কের সঙ্গে আফগানিস্তানের সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে তেমন সুসম্পর্ক নেই। পাকিস্তানের বহু মানুষ তুরস্কে বসবাস করে থাকেন। আফগানিস্তানে তালিবানদের শাসনে স্বীকৃতি দিয়েছে তুরস্ক। তার ফলেও এই পরিণতি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।