মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ, রাহুল-ঘনিষ্ঠ শীর্ষ নেতার পদত্যাগের নেপথ্যে কী কারণ
রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের মধ্যে বাড়ছে অন্তর্কলহ। কংগ্রেসের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একত্রিত করে রাখার কোনওরকম প্রয়াস দেখা যাচ্ছে না। তার জেরে একের পর এক শীর্ষ কংগ্রেস নেতা পদত্যাগ করছেন। এবার কংগ্রেসের সেই ভাঙনের রেশ গিয়ে পড়ল মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত পদত্যাগ করলেন।

মহারাষ্ট্রের দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় গোয়ার পর পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যেও ভাঙন জল্পনা মাথাচাড়া দিল। সম্প্রতি কংগ্রেসে রদবদল হয়েছে মহারাষ্ট্রে। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে রদবদল ঘটিয়েছেন রাজ্য কমিটিতে। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান নানা পাটোলির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শচীন সাওয়ান্ত পদত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে অতুল লন্ডেকে নিয়োগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পটোলে। অতুল লন্ডে এনসিপি-র প্রাক্তন নেতা। তিনি এনসিপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। লন্ডে ২০১৬ সালে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়েছিলেন সাওয়ান্ত। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সাওয়ান্ত তার টুইটার বায়ো থেকে তাঁর পদও সরিয়ে দিয়েছেন। তাতে জল্পনা আরও প্রগাঢ় হয়েছে। প্রতিবেদনে এমনও বলা হয়েছে যে, সাওয়ান্ত কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছেন। দলে তিনি যাতে নতুন ভূমিকা নিতে পারেন তার জন্যই এই চিঠি বলে মনে করা হচ্ছে।
তিন দশকের বেশি সময় কংগ্রেসে রয়েছে শচীন সাওয়ান্ত। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। সাওয়ান্ত ১০ বছরেরও বেশি সময়ের জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন এবং তিনি বর্তমানে প্রধান মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্যাটোলে তাঁকে সহকারী মুখপাত্রের পদ দেওয়ায় তিনি ক্ষুণ্ণ হন। তাই তিনি ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন।
বিজেপি এবং মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের সমালোচনা করার জন্য সাওয়ান্তকে রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠ বলে মনে করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন নানা প্যাটোলে। তিনি বালাসাহেব থোরাতের স্থলাভিষিক্ত হন। প্যাটোল তখন থেকেই বেশ কিছু এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা প্রবীণ নেতাদের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি করেছিল। তার ফলস্বরূপ শচীন সাওয়ান্তের মতো নেতাদৃকে পদত্যাগ করতে হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সাওয়ান্ত মনে করেন, এই বিষয়টি তৎপরতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত কংগ্রেস প্রধানের।