পুরসভা ভোট করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে! পুলিশের মেরুদণ্ড সোজা করতে হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের
রাজ্য পুলিশের (Police) মেরুদণ্ড বেঁকে গিয়েছে। এদের দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব নয়। এদিন এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তাঁর দাবি উপনির্বাচনের পরে পুরসভাগুলির নির্বাচন করানো হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে।

আটকে পুরসভার ভোট
এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেন, বিধানসভা নির্বাচনের আনেক আগে থেকেই পুরসভাগুলির ভোট আটকে রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২০ সাল থেকেই রাজ্যে পুরসভার ভোট বকেয়া রয়েছে। রাজ্যের প্রায় সব পুরসভাতেই ভোট বকেয়া। সেখানে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ রাজ্য সরকারের ভোট করানোর কোনও ইচ্ছাই ছিল না। কিন্তু বিজেপি বারবার পুরসভাগুলির ভোট করানোর দাবি করে আসছে।

পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে রাজ্য
রাজ্য বিজেপি সভাপতি কটাক্ষ করে বলেছেন, পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। বিধানসভা ভোটের পরে বিভিন্ন সন্ত্রাস করে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে ভোট করিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল। এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার সাফ জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের ওপরে তাদের ভরসা নেই, সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। রাজ্য পুলিশ নিরপক্ষে নয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজ্য সরকার দাবি না মানলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

ভাল ফলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী
সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, বেশ কিছু পুরসভায় বিজেপি ভাল অবস্থান আছে। ফলে তারা নির্বাচনের ফল নিয়ে আশাবাদী। এছাড়াও অনেক পুরসভায় প্রথবার বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সবসময় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিসেম্বরে রাজ্যের পুরসভাগুলির নির্বাচন হতে পারে। ২০২০ সাল থেকে রাজ্যের ১১২টি পুরসভার ভোট বকেয়া রয়েছে। সূত্রের আরও খবর দু থেকে তিনটি ধাপে পুরসভাগুলির নির্বাচন করা হতে পারে। এব্যাপারে কলকাতা ও হাওড়ার ভোট একদিনে এবং বাকি ১১০ টি পুরসভার ভোট একাধিক পর্যায়ে করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্র দক্ষিণবঙ্গের পুরসভাগুলিতে দ্বিতীয় ধাপে এবং উত্তরবঙ্গে তৃতীয় ধাপে ভোট করানো হতে পারে। নবান্নের সম্মতি পেলে এবং করোনা দাপট সেভাবে না বাড়লে ভাইফোঁটার পরে ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন। বড়দিনের আগে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত হিসেব কষে ফেলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
উপনির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক, দিনহাটার মতোই বিজেপিতে ভাঙন খড়দহেও