ইস্কন সহ একাধিক হিন্দু সংগঠনের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হল বাংলাদেশে! কণ্ঠরোধ বলছেন ভক্তরা
বাংলাদেশের মাটিতে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। একের পর এক দুর্গা প্রতিমা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ইস্কনের মন্দিরেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আর সেই একের পর এক ঘটনা দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু হলেও এখনও সেই রেশ চলছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ চলছে বিশ্বজুড়ে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হল ইস্কন বাংলাদেশের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
এমনকি বাংলাদেশের একাধিক হিন্দু সংগঠনের টুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক
আর এই পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। ইস্কনের কলকাতা মন্দিরের অন্যতম অধ্যক্ষ রাধা রমন দাস এই সংক্রান্ত তথ্য তাঁর টুইটারে তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর টুইটারে এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ওরা আমাদের ভক্তদের মারল, টুইট আমাদের আওয়াজ বন্ধ করে দিল। যদিও কেন বাংলাদেশের টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দিল তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে। যদিও ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। কোন দোষে বন্ধ হল টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

টুইটারে প্রতি মুহূর্তে তথ্য, ছবি বিশ্বের সামনে তুলে ধরছিল
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ইস্কন তাঁদের টুইটারে প্রতি মুহূর্তে তথ্য, ছবি বিশ্বের সামনে তুলে ধরছিল। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের ইস্কন সমাজ যে ভাবে গর্জে উঠেছিল তাতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের কাছেও অভিযোগ জানায় ইস্কোন। দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। যদিও এই ঘটনায় মুখ খুলেছে রাষ্ট্রসংঘও।

প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশ
নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই বার্তা দেওয়া হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো। সোমবার তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তা মূলত সামাজিক মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকেই ছড়িয়েছে, যা সংবিধানের পরিপন্থী। সরকারের প্রতি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বার্তা দেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ঘটনায় আগামী ২৩ অক্টোবর, শনিবার গোটা বিশ্বের ১৫০টি দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে ইস্কন কর্তৃপক্ষ। একইসাথে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য প্রার্থনা সভারও আয়োজন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।