কোভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিতে আরও কিছু তথ্য চায় WHO
সোমবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ৯৭.৭৬ কোটি করোনা টিকা দিয়েছে ভারত সরকার। যার একটা অংশ কোভ্যাকসিন৷ ভারতে মূলত কোভিশিল্ডের পরই কোভ্যাকসিনের টিকা নিয়েছেন নাগরিকরা৷ তবে কোভিশিল্ডকে মান্যতা দিলেও এতদিন ধরে দেশের আরএকটি বহুল ব্যবহৃত করোনা টিকা কোভ্যাকসিনকে তাদের তালিকাভুক্ত করেনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা৷ এবার কোভ্যাকসিনকে নিজেদের অনুমোদিত করোনা টিকার তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারত বায়োটেকের কাছে আরও কিছু তথ্য চাইল WHO

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সোমবার বলেছে যে এটি ভারত বায়োটেক থেকে তারা করোনা ভ্যাকসিন কোভাক্সিনের আরও কিছু অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছে। জরুরিভিত্তিতে ব্যবহার জন্য ডব্লিউএইচওর তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে এই সমস্ত তথ্যগুলি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করা হবে৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অতিরিক্ত তথ্য মঙ্গলবারই প্রত্যাশিত ছিল। ধারাবাহিক টুইটে ডব্লিউএইচও বলেছে যে এটি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। জরুরী ব্যবহার তালিকাভুক্তির সময়সীমা নির্ভর করে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা কত দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে তার উপর।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে 'আমরা এ বিষয়ে সচেতন যে অনেক মানুষ কোভাক্সিনকে জরুরী ব্যবহার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অপেক্ষা করছেন৷ WHO এর সুপারিশের জন্য অপেক্ষা করছেন৷ কিন্তু আমরা নিয়মের ক্ষেত্রে কোন রকম কাটছাঁট করতে পারি না। জরুরী ব্যবহারের জন্য কোনো পণ্য সুপারিশ করার আগে, এটি অবশ্যই নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই এটিকে ভালভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই এটি মানব কল্যানের জন্য কার্যকর হবে৷
প্রসঙ্গত দেশে কোভ্যাক্সিন করোনা টিকা বানিয়েছে ভারত বায়োটেক। সংস্থাটি ডব্লিউএইচও-র কাছে রোলিং ভিত্তিতে ডেটা জমা দিচ্ছে এবং ডাব্লুএইচও বিশেষজ্ঞরা এই ডেটা পর্যালোচনা করেছেন। WHO আজ কোম্পানির কাছ থেকে একটি অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছে। সে বিষয়টিই তারা টুইট করে জানিয়েছেন৷
ডব্লিউএইচও পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভারত বায়োটেকের দেওয়া তথ্যগুলি সমস্ত উত্থাপিত প্রশ্নের সমাধান করলে তবেই ছাড়পত্র মিলবে৷ বিশ্ব স্বাস্য সংস্থা এবং তার প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গোষ্ঠীর মূল্যায়ন সম্পন্ন হওয়ার পরই জানা যাবে যে তারা এই ভ্যাকসিনে জরুরি ব্যবহারের তালিকাভুক্ত করার চূড়ান্ত সুপারিশ করবে কিনা!
হায়দ্রাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ডব্লুএইচও স্বাভাবিক পর্যালোচনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে, এবং তারা সমস্ত তথ্য সরবরাহ করছে যা তাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে।
অতি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, মেঘভাঙা বৃষ্টি নৈনিতালে, উদ্ধারকাজে পুলিশ–প্রশাসন
রবিবার ডব্লিউএইচওর প্রধান গবেষক সৌম্য স্বামীনাথন টুইটারে পোস্ট করেছেন, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ২৬ই অক্টোবর কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসবেন। ছাড়পত্র পাওয়ার ক্রাইটেরিয়াগুলো পূর্ণ করার জন্য ভারত বায়োটেক ও WHO তথ্যআদানপ্রদান করছে৷