দীপাবলির আগে কাশ্মীর সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা প্রধান, অনুপ্রবেশ রুখতে তৎপরতা তুঙ্গে
কাশ্মীরে গত কয়েকদিন ধরেই জঙ্গিদের সঙ্গে লাগাতার গুলির লড়াই চলেছে সেনাবাহিনীর। একাধিক জঙ্গিকে নিকেশও করেছেন জওয়ানরা আবার একাধিক জওয়ান শহিদও হয়েছেন জঙ্গিদের গুলিতে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দীপাবলির আগে। পরিস্থিতি বিশেষ ভাবে নজরে রাখতে কাশ্মীরের সীমন্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করলেন জেনারেল নারাভানে।

কাশ্মীর সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে এমনই খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই নিয়ে সতর্কও করা হয়েছে সেনা বাহিনীকে। এমনকী উৎসবের মরশুমে বড় নাশকতার ছক কষছেন তাঁরা। কীভাবে অনুব্রবেশ মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে সেনা প্রধান সরাসরি সেখােন কর্তব্যরত কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী তিনি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনও করেছেন।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা প্রবণ হয়ে রয়েছে। কাশ্মীরে বাইরে থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িেয়ছে কাশ্মীরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে জঙ্গিরা এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত রবিবার কাশ্মীরের কুলগামে দুই অকাশ্মীরি শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। তার পরে পরেই সেনা প্রধানের এই কাশ্মীর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর আগামী ২৩ অক্টোবর কাশ্মীর সফরে যেতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২৩ এবং ২৪ অক্টোবর তিনি কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন সিআরপিএফের আধিকারিকদের সঙ্গেও। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এটাই হতে চলেছে অমিত শাহের প্রথম কাশ্মীর সফর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মোদী সরকার দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করার পর কাশ্মীর েথকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে এবং কাশ্মীর ও লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। অমিত শাহের সফরের আগে সেনা প্রধানের এই কাশ্মীর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজৈনিতিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সামনেইআবার কাশ্মীরে নির্বাচন করানোর তোরজোর শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকার। সেকারণে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। সব রাজনৈতিক দলকেই ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে সেই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে নারাজ মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি। একসময়ের বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই কাশ্মীরে সরকার গড়েছিল পিডিপি।