বড় ভাঙন কংগ্রেসে, ভোটের মুখে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপদেষ্টা-সহ দুই হেভিওয়েটের দলত্যাগ
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসে আরও একটি বড় ধাক্কা লাগল। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপদেষ্টা-সহ দুই হেভিওয়েট নেতা দল ছাড়লেন। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে ভোট। তার আগে দলের এই ভাঙন আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। উত্তরপ্রদেশে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস, তখনই দলের ভাঙন সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।

মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন বিধায়ক হরেন্দ্র মালিক এবং সহ-সভাপতি পঙ্কজ মালিক দলত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাবা-ছেলে উভয়েই সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিম ইউপিতে সমাজবাদী পার্টির ভিত্তি রয়েছে। এবং তাদের ভোটব্যাঙ্কও রয়েছে। তাই ভোটের মুখে তাঁদের এই দলবদল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
হরেন্দ্র মালিক ২০০৫ সালে জাতীয় লোকদল পার্টি হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। পঙ্কজ মালিক দু'বার বিধায়ক হয়েছেন। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি ২০০৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঘরা আসন থেকে বিধায়ক হন। এরপর ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি শামলি আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের ইনচার্জ ছিলেন।
মালিক পরিবার মুজাফফরনগরের বাসিন্দা। খবরে প্রকাশ, হরেন্দ্র এবং পঙ্কজ মালিক ২২ অক্টোবর সমাজবাদী পার্টির মঞ্চে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে থাকতে পারেন। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অকিলেশ যাদব একটি সমাবেশ করবেন। সেই সমাবেই তাঁরা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। কংগ্রেস পার্টি থেকে পদত্যাগ করার পর হরেন্দ্র মালিক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁরা দলের ক্ষতি করছেন এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ভুল পথে চালিত করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
১৭ অক্টোবর সাহারানপুর থেকে 'প্রতিজ্ঞা যাত্রা' শুরু করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু এলাকার কংগ্রেস নেতাদের সহযোগিতার অভাবে এই কর্মসূচি শুরু করা যায়নি। সাহারানপুরে বসবাসকারী কংগ্রেস নেতা ইমরান মাসুদও পার্টি ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা। তিনি বহুবার বলেছেন যে শুধুমাত্র সমাজবাদী পার্টিই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে।
মঙ্গলবার কংগ্রেস ঘোষণা করেছে, উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মহিলাদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেওয়া হবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই সিদ্ধান্ত গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তার অদ্যাবধি পরেই কংগ্রেসের ভাঙন আবার বড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর ভবানায়। একের পর এক ভাঙন কংগ্রেসকে সামনে এগোতে দিচ্ছে না।