ভয়ঙ্কর দুর্যোগের কবলে দেবভূমি: উৎসবের মরশুমে বাংলা থেকে উত্তরাখন্ডে গিয়ে আটকে বহু বাঙালি
দুর্যোগে প্রবল বিধ্বংসী পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ডে । প্রবল বর্ষণে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত বিধ্বংসী বন্যাতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভেসে গিয়েছে রাস্তা ঘাট ঘর বাড়ি। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের একটি রিসর্টে ২০০ জন পর্যটক আটকে ছিলেন।
তাঁদের সেখান থেকে বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যে উত্তরাখণ্ড জুড়ে বহু পর্যটক রয়েছেন। সেখনের রানিখেত ও রামনগর এলাকার রাস্তায় বহু জায়গাতেই ট্রাফিক কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে এই মুহূর্তে চিন্তার বিষয় বহু বাঙালি পর্যটককে নিয়ে। উৎসবের মরশুমে সেখানে গিয়ে আটকে পড়েছেন বলে খবর। এমনকি অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও ইতিমধ্যে একাধিক পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে।

পর্যটকদের দল উত্তরাখন্ডে গিয়ে আটকে পড়েছে
জানা যাচ্ছে, হাওড়ার একটি পর্যটকদের দল উত্তরাখন্ডে গিয়ে আটকে পড়েছে। সোমবার রাতে পর্যটকদের ফেরার ট্রেন ছিল কাঠগোদাম স্টেশন থেকে। কিন্তু তাঁরা ফিরতে পারেননি বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে উত্তরাখন্ডের একাধিক জায়গাতে ধস নেমেছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি রাস্তাও ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে উত্তরাখন্ডের পরিকাঠামো। কিন্তু কোনও রকমে স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় হাওড়া থেকে যাওয়া পর্যটকরা প্রাণে রক্ষা পান বলে জানা যাচ্ছে। তবে কবে ফিরবেন তাঁরা সে বিষয়ে কোনও নিশ্চিয়তা পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে শুধু হাওড়া নয়, কলকাতারও একাধিক পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য
অন্যদিকে চুঁচুড়া থেকেও একদল পর্যটক দুর্গাপুজোতে উত্তরাখন্ডে বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। প্রবল বৃষ্টিতে সেখানেই তারা আটকে পড়েছেন। দুদিন ধরে খাবার, জল না পেয়ে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। প্রশাসনের কোনও সাহায্যেই তাঁরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পরিবারের। এই বিষয়ে দ্রুত রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্য চান সেই সমস্ত পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথাও জানানো হয়েছে। কোনও রকমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পর্যটকরা জানিয়েছেন, তাঁরা একটি গ্রুপ আসেন। এই মুহুতে আমরা বিপদের মধ্যে আছি। অনেক বাঙালি পর্যটকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য প্রশাসনের তরফে দ্রুত সাহায্যের বার্তা আটকে পড়া পর্যটকদের।

নৈনিতাল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই প্রবল বর্ষণের জেরে। বহু ঘর বাড়ি, রাস্তা এই পরিস্থিতিতে খারাপ হয়ে গিয়েছে। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বহু সড়ক যোগাযোগ। এদিকে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রবল জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বহু সড়ক। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্পক সিং ধামী জানিয়েছেন, কোনও মতেই যেন পরিস্থিতি নিয়ে কেউ ভীত বা সন্ত্রস্ত না হয়ে পড়েন। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ।