দিনের বেলাতে আঁধার নেমে এল এলাকায়! কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড গোটা গ্রাম
গত ২৪ ঘন্টা ধরে লাগাতার দুর্যোগ! ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ছবিটা এক। আর এই অবস্থাতে আচমকা ঘুর্নিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। গভীর রাতে হুগলির গোঘাটের কাঁঠালি গ্রামের উপর দিয়ে হঠাত করেই ব্যাপক ঝড় অয়ে যায়। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় এই ঝড়।
আর তাতেই পুরো লন্ডভন্ড অবস্থা হয়ে যায় গোটা এলাকা। গত কয়েকমাসে একাধিক টোর্নেডোর সাক্ষী থেকেছে গ্রাম বাংলা। হুগলিতেও একাধিকবার এই ঝড় বয়ে গিয়েছে।
আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার ঘুর্নিঝড়ের সাক্ষী থাকল কাঁঠালি গ্রামের মানুষ।

কালো মেঘে ঢাকা আকাশ
সকাল থেকে কালো মেঘে ঢাকা আকাশ। রবিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলেই যাচ্ছে। কখনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। আর তার মধ্যেই এই ঝড় আছড়ে বলে জানাচ্ছেন সেখানকার গ্রামের মানুষ। এলাকার মানুষ জানাচ্ছে, সোমবার কালো হয়ে আসে গোটা এলাকা। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রবল বেগে হাওয়া চলতে থাকে। প্রবল হাওয়াতে দাড়িয়ে থাকাটা খুব কষ্টের ছিল বলে দাবি স্থানীয় মানুষজনের। প্রায় মিনিট খানেক ধরে ঝড়ের তাণ্ডব চলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।

শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ
ঘটনার খবর পেয়েই এদিন সকালে গ্রামে পৌঁছন সরকারি আধিকারিকরা। ছুটে আসেন গোঘাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল। তবে ঝড়ের তাণ্ডবে বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ হয়নি। এমনকি হতাহতেরও খবর নেই। তবে প্রবল ঝড় বয়ে যাওয়ার কারনে একাধিক গাছে ভেঙে পড়েছে। এমনকি রাস্তার উপড়ে একাধিক গাছ ভেঙে পড়াতে বন্ধ রাস্তাঘাট। যদিও সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা।

দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ২০ অক্টোবর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বাকি জেলাগুলির কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পরি্মাণ কমে গেলেও মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।