আইন মানছে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট! সশরীরে হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রুজিরা
কয়লা-কাণ্ডে নয়া মোড়! ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পত্নী। আগামী ১২ অক্টোবর এই মামলার তদন্তে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সশরীরে হাজিরা দিতে বলে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।
আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে রুজিরা। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলা হয় আদালতে। সেখানে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই মামলা। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।

দিল্লি হাইকোর্টে রুজিরা
জানা গিয়েছে, আইনজীবী মারফৎ দিল্লি হাইকোর্টে রুজিরা তাঁর আবেদনে জানান ইডি আইন মানছে না। যে কোনও মহিলাকে অন্য রাজ্য থেকে তলব করার আগে তদন্ত করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিষেক পত্নী তাঁর আবেদনে আরও জানিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি রয়েছে। তাঁর দুটি বাচ্চা আছে। ফলে এই মুহূর্তে তাঁদের ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও আদালতের কাছে আরজি জানান। এক্ষেত্রে আদালতের কাছে ছাড় দেওয়ার কথা আবেদন রাখা হয়েছে। তবে ই-মেলের মাধ্যমে ইডি-র সঙ্গে তিনি সহযোগিতা করেছেন বলে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদনে জানিয়েছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মামলা কোনদিকে গড়াচ্ছে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।

১২ অক্টোবর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ
সশরীরে হাজিরার নির্দেশ অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ১২ অক্টোবর দুপুর ২টোর সময়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল্লি পাতিয়ালা কোর্টের। পাতিয়ালা কোর্টেই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেদিন ইডির তরফেও রুজিরার বিরুদ্ধে কি প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে। মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালের মাধ্ম্যে হাজিরা দেন রুজিরা। মামলার শুনানিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি চলছে। ফলে এই মুহূর্তে তাঁর কলকাতা ছাড়া সম্ভব নয় বলে আদালতে জানান রুজিরা। কারণ হিসাবে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতকে জানান, তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে আদালত তাঁকে যেন অনলাইন মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেয়। যদিও আদালত তা খারিজ করে দেয়। আর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টে রুজিরা।

অভিষেক হাজিরা দিলেও হাজিরা দেননি রুজিরা
গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির দিল্লির অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তাঁকে নয় ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল। যা নিয়ে জামনগরের ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক। তিনি দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নে। পরবর্তী সময়ে ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়। তিনি যাননি। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর তৃণমূল সাংসদকে ফের ডেকে পাঠায় ইডি। সেই সময় ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, অভিষেকের অনেত উত্তরে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। অভিষেককে এই জিজ্ঞাসাবাদের কয়েকদিন আগে ১ সেপ্টেম্বর রুজিরাকে তলব করা হলেও তিনি সেখানে হাজিরা দেননি। তাঁর ছোট দুই সন্তান এবং করোনা সংক্রমণে ভয়ের কথা বলেছিলেন।