বস্ত্রশিল্পে বিপ্লব আনতে নয়া উদ্যোগে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, কয়েক হাজার চাকরির সম্ভাবনা
বস্ত্রশিল্পে এবার বড়সড় উদ্যোগ মোদী সরকারের। পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। অবশেষে মেগা ইনভেস্টমেন্ট টেক্সটাইল পার্ক তৈরির উদ্যোগে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আগামী তিন বছর ধরে তৈরি হবে সেই পার্ক। ৭ একর জমির ওপরে তৈরি হওয়া টেক্সটাইল পার্কে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

শুধু তাই নয় এই পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে সহজেই। গত আর্থিক বাজেটে এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্বের তাবড় সব সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যের মাধ্যমে যুক্ত হবে ভারত। ভারতের কাছে বিদেশে রফতানির সুযোগ বাড়বে অনেকটাই।
বাজেটে জানানো হয়েছিল যে এই টেক্সটাইল পার্ক তৈরি হলে বস্ত্রশিল্পে ব্যবসা অনেক সহজ হবে, বিশেষত যাতায়াতের জন্য যে বিপুল ক্ষতিকর যেটা হয় সেটা অনেকটাই কমে যাবে। ভারতের বস্ত্র শিল্প তখন যে কোনও দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, বস্ত্র শিল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেবে এই টেক্সটাইল পার্ক। তিনি জানিয়েছেন, এতে একদিকে যেমন বিনিয়োগ বাড়বে তেমনই বাড়বে চাকরির সুযোগ। এই উদ্যোগের অংশ নেওয়ার জন্য সব রাজ্যের কাছে তাদের ইচ্ছার কথা জানতে চাইবে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই গুজরাট, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র এই পার্কে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আগেই জানিয়েছিলেন, ২০২১-২২ এর মধ্যে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের রফতানি ভারতের লক্ষ্য। আগামী পাঁচ বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের জিনিস রফতানি করতে চায় ভারত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পিএলআই স্কিমের জন্য ইতিমধ্যেই ১০,৬৮৩ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এই সিমে ১৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই স্কিমে বিশেষভাবে উপকৃত হবে গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও ওড়িষা। উপরিউক্ত রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই বস্ত্র শিল্প উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মাসে এই স্কিম উন্মোচন করেছেন পীযূষ গোয়েল।
উল্লেখ্য, দেশের বস্ত্রশিল্পকে চাঙ্গা করতে গত মাসখানেক আগেই ১০৬৮৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিয়ুশ গোয়েল জানিয়েছিলেন যে, যে সমস্ত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে আগে তা কখনও নেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এই বিষয়টি দেখছেন বলে দাবি তাঁর।
পীয়ুষ গোয়েলের কথায় খুব শীঘ্রই বিশ্বের বাজারে ভারতের বস্ত্র একটা জায়গা করে নেবে। শুধু তাই নয়, আন্তজাতিক বাজারে ভারতের তৈরি সমস্ত বস্ত্র পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, 10,683 কোটি টাকা Incentive হিসাবে প্রোডাকশনের উপর দেওয়া হবে। এতে ভারতের সংস্থাগুলি বিশ্বের বাজারে জায়গা পেতে আরও সহজ হবে।