নোবেল ২০২১: রসায়নে সম্মান পেলেন জার্মানি ও স্কটল্যান্ডের ২ বিজ্ঞানী
রসায়নে আণবিক গঠন নিয়ে বহু ধরনের কাজ করেছেন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট ও ডেভিড ডব্লু সি ম্যাকমিলন। জার্মানি ও স্কটল্যান্ডের এই দুই বিজ্ঞানী ২০২১ সালে জিতেছেন নোবেল পুরস্কার। রয়াসয়নের আঙিনায় যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য এই পুরস্কার তাঁরা জিতে নিয়েছেন। রসায়নে আনবিক গঠনের দিক থেকে এক যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে বিস্ট ও ম্যাকমিলনের হাত ধরে সৌরকোষ থেকে ব্যাটারি স্টোরেজের হাত ধরে।

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বেঞ্জামিন লিস্ট এবং আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যায়ের ম্যাকমিলনের যৌথ উদ্যোগ রসায়নের ক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত দেখাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অণু গঠনের জন্য তাঁরা অভাবনীয় একটি বিষয় উদ্ভাবন করেছেন। এদিকে, জানানো হয়েছে পুরস্কার মূল্যের এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার সমানভাবে ভাগ করে নেবেন তাঁরা। এই দুই গবেষক রসায়নের ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনার রাস্তা দেখিয়েছে। উল্লেখ্য, জৈব অনুঘটক বিক্রিয়ার বিষয়ে একটি বিশেষ দিক উদ্ভাবন করেছেন তাঁরা। এক আণবিক গঠন সৌরকোষ থেকে ব্যাটারি স্টোরেজের মতো বিভিন্ন বিষয়ে কীভাবে কার্যকরী হবে, তা নিয়ে এক যুগান্তকারী সাফল্য উঠে এসেছে এই দুই বিজ্ঞানীর হাত ধরে। সুইডিশ অ্যাকাডেমির মতে, এই দুই বিজ্ঞানীর হাত ধরে আসা আবিষ্কারের ফলে গবেষকরা নয়া ওষুধের উপকরণ থেকে শুরু করে অণু পর্যন্ত কিছু এমন ধরনের জিনিস তৈরি করতে পারবেন, যা সৌরকোষ সংক্রান্ত উদ্ভাাবনায় নয়া কাজে লাগবে।
এদিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির নিরিখে এই আবিষ্কার ওষুধ তৈরিতে উপকার হবে। এই আবিষ্কার থেকে চিকিৎসাজগতেও প্রভূত উন্নতি হবে। আর সেই নিরিখেই এবারের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে জানান হয়েছে, নোবোলের পুরস্কার মূল্যের একটি অংশ লিস্ট পাচ্ছেন অন্যটি পাচ্ছেন ম্যাকমিলন। সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের ফলে ওষুধের উপকরণ থেকে অনু পর্যন্ত এমন কিছু তৈরি করা যাবে, তা সৌরকোষের আলো ধরতে পারবে। ম্যাকমিলন তাঁর নোবেল জয়ের খবরে বিস্মিত। তিনি জানান, তিনি নিজে কোনও দিনও নোবেল জিতে নিতে পারবেন তা ভাবতে পারেননি। তাঁর আবিষ্কারের সময় তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন যে এই উদ্ভাবনা বিশ্ব সাড়া ফেলতে পারে, তবে তা নোবেল জিতবে আশা করেননি তিনি, বলে জানান। উল্লেখ্য, এর আগে পদার্থবিদ্যা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে দেওয়া হয়েছে নোবেল পুরস্কার। সেই ক্ষেত্রেও একাধিক যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞনীদের সম্মান জানায় নোবেল কমিটি কর্তৃপক্ষ।