লখিমপুরকাণ্ডে ইস্তফা নিয়ে জল্পনার মাঝেই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর
লখিমপুরকাণ্ডে বিতর্কের ছায়া কার্যত ছাড়ছে না অজয় মিশ্র ও তাঁর ছেলে আশিস মিশ্রকে ঘিরে। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের সফরকালে তাঁর কনভয়ের সামনে কয়েকজন বিক্ষোভরত ছিলেন। সেই সময় একটি গাড়ি দুই বিক্ষোভরত কৃষককে পিষে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই মন্ত্রীর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে , তাঁর নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, মন্ত্রীর দাবি ঘটনার সময় তিনি বা তাঁর ছেলে ঘটনাস্থলে কেউই ছিলেন না। আর এই জায়গা থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনরোষ উপচে পড়ছে এলাকায়। সেই জায়গা থেকেই এদিনের হাইভোল্টেজ বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে দিল্লিতে। যেখানে অজয় মিশ্র ও অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন।

২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত তৎপর বিজেপি। এদিকে, এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। এডিটিভি সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অজয় মিশ্র জানান যে , তিনি বা তাঁর ছেলে আশিস কেউই ঘটনা স্থলে ছিলেন না। এই কথা একবার নয়, সূত্রের দাবি , দু'বার অমিত শাহকে বোঝান অজয় মিশ্র। এনডিটিভির প্রকাশিত খবর বলছে, সম্ভবত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব অজয় মিশ্র এখনই ছেড়ে যাচ্ছেন না। এদিকে, সরকারের সূত্রে খবর আপাতত অজয় মিশ্র নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন না। উল্লেখ্য, লখিমপুর খিড়ি কাণ্ডে অজয় মিশ্রর পদত্যাগের দাবিতে সরব বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে গ্রেফতারির মতো পদক্ষেপ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়। এদিকে, গৃহবন্দি অবস্থায় থাকেন সপা নেতা অখিলেশ। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন যে, তাঁকে লখনউতে আটকে দেওয়া হয়েছে এদিন। এই পরিস্থিতিতে, প্রিয়াঙ্কা একটি টুইটে দাবি করেন যে, তিনি কেবল ঘটনাস্থলে যেতে গিয়েছিলেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অথচ যে ঘটনার দোষী সে জেলের বাইরে। এদিকে, তিন দিনের সফরে লখনউ পৌঁছন মোদী। তার আগে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উত্তাল যোগীরাজ্যের রাজনীতি।
লখিমপুরের ঘটনায় সেদিন মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বুকে। এঁদের মধ্যে ৪ জনই কৃষক। এই পরিস্থিতিতে, দেশের সমস্ত কৃষক সংগঠন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ধিক্কার জানিয়ে বহু সংগঠন ধরনায় বসেছে। এদিকে, ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিও তপ্ত রয়েছে এই ইস্যুতে। এদিকে, বহু টানাপোড়েনের পর শেষমেশ লখিমপুরের দিকে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও নেত্রী প্রিয়ঙ্কা। এদিকে, তিন দিনের সফরে লখনউতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ও কেন্দ্রের অবস্থানের দিকে কড়া নজর রেখেছে ওয়াকিবহাল মহল।
