আগে সাতদিন জল জমে থাকত... ! শহরে জল যন্ত্রণা নিয়ে আরও কী বললেন মমতা?
লাগাতার বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারণে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জমে জল। আজ মঙ্গলবার সেভাবে ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবুও শহরের একাধিক জায়গাতে জল নামেনি। এমনকি জমা জলের কারনে গতকাল সোমবার খিদিরপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা পর্যন্ত বাতিল করা হয়। এই অবস্থায় আজ মঙ্গলবার একেবারে ঝোড়ো প্রচার সারলেন প্রার্থী মমতা। একেবারে খিদিরপুর থেকে শুরু করে চেতলাতেও সভা করলেন তিনি। তবে মানুষ যে জল যন্ত্রণাতে কাবু সে বিষয়টি টের পেয়েছেন নেত্রী! আর তাই সভার শুরুতেই শহরের জল যন্ত্রনা নিয়ে কার্যত সাফাই দিলেন তিনি।


খিদিরপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আগে সাতদিন জল জমে থাকত, এখন তা থাকে না। তবে যে টুকুও না জমে তার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মমতা বলেন, কবিতীর্থ পাম্পিং স্টেশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। তা ডিসেম্বরেই কাজ শুরু করবে বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে বডিগার্ড লাইন এবং খিদিরপুরেও পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। যা সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেলে এলাকায় জমা জমার সুরাহা করা যাবে বলেও দাবি করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
অন্যদিকে আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবারের সভা বাতিল প্রসঙ্গ তুলে জানান, জল জমার খবর পাওয়ার পরেই দমকল থেকে শুরু করে বাকি বিভিন্ন বিভাগকে জল সরানোর কাজে লাগানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত জলে ডুবে ছিল খিদিরপুর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই অবস্থায় রাতারাতি বাতিল করা হয় নেত্রীর সভা। আর এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। প্রায় সারারাত নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকাতে জল বার করার কাজ করা হয়। আর এরপরেই আজ সভা করতে যান মমতা। কিন্তু এখনও জল নামেনি শহরের বহু অংশে। আর তা নিয়েই কার্যত সভামঞ্চ থেকে সাফাই দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে কার্যত টানটান উত্তেজনা। একচুল যাওয়া তৃণমূলকে জায়গা ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপি। প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়ালকে জেতাতে কার্যত ময়দানে নেমে পড়েছে গোটা বিজেপি কম্পানি। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও কি চাপ বাড়ছে শাসকের? অন্তত এদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর এমনটাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। উল্লেখ্য, এদিন মমতা বলেন, এই নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিততে না পারলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তখন অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী রাখতেই ভবানীপুর কেন্দ্রের মধ্যে থাকা খিদিরপুরবাসী যেন তাঁকে ভোট দেন, সেই আবেদন রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর দাবি, 'আমার জন্যই এখানে নির্বাচন হচ্ছে। উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হেরে এসেছেন।'