ফেনির উৎপত্তি কীভাবে? দেশি মদের ইতিবৃত্ত জানাতে গোয়ায় তৈরি হচ্ছে মদের মিউজিয়াম

শেষে কিনা মদের মিউজিয়াম। গোয়ায় এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি গোয়া সমুদ্র সৈকতের মোহে যেমন পর্যটকরা আসেন, ঠিক তেমন সেই সমুদ্রের আনন্দ মাটি হয়ে যায় ফেনির গ্লাসে চুমুক না দিলে সেই আমেজ থাকে না। তাই ফেনির জনপ্রিয়তা এত বেশি। সেটা খতেই অনেকে ছুটে আসেন বিদেশ থেকে। সেকারণেই ফেনির ইতিহাস জানাতে এই মিউজিয়ামটি তিনি তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন।

ফেনির মিউজিয়াম গোয়ায়

গোটার জনপ্রিয়তার মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল ফেিন মিউজিয়াম। সমুদ্র সৈকতে ছোট্ট একটি গ্রাম কান্ডোলিমে তৈরি হয়েছে এই মিউজিয়ামটি। নন্দন কুচেন্দ্রকান নামে এক ব্যবসায়ী এই মিউজিয়ামটি তৈরি করেছেন।
তাঁর দাবি গোয়ার স্পেশািলটি তার ফেনিতে। এই ফেনির টানেই অনেক পর্যটক গোয়ায় বেড়াতে আসেন। কিন্তু তাঁদের প্রায় কেউ জানেনই না কীভাবে গোয়ায় ফেনি এল। কেন গোয়ার দেশি মদের দাম ফেনি। কীভাবে সেটা তৈরি হয়। এরকম একাধিক বিষয় সম্পর্কে জানাতেই এই মিউজিয়াম তৈরি করা জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

ফেনির উৎপত্তি কীভাবে

গোয়ার দেশি মদ বলে দািব করা হয় ফেনিেক। কাজু বাদাম থেকেই এই মদের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। ১৭০০ সালে ভারতে প্রথম ভারতে কাজু বাদাম গাছ নিয়ে এসেছিলেন পর্তুগিজরা। ব্রাজিল থেকে তাঁরা কাজুবাদামের গাছ নিয় এসে গোয়ায় লাগিয়েছিলেন। গোয়ার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে গিয়েছিল কাজুবাদামের গাছ। এই কাজু বাদামের গাছ থেকেই ফেনির উৎপত্তি। কাঁচা কাজু পচিয়ে সেখান থেকে ফেনি তৈরি করা হয়। ফেনি তৈরির জন্য কাজু গাছ রীতিমত চাষ করে থাকে গোয়ার চাষীরা। গোয়ার অর্থকরী ফসল এই কাজু। পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে মশালা ফেনিও তৈরি করা হয়। তাতে মেশান হয় এলাচ, গোলমরিচল, লবঙ্গ, দারচিনি। তারপরে সেটিকে পর্যটকদের দেওয়া হয়। গোয়ায় এই মশালা ফেনি বেশ জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে।

কোকোনাট ফেনি

শুধু কাজু ফেনি নয় কোকোনাট ফেনিও বেশ জনপ্রিয়। ২০০৯ সাল থেকে এই কোকোকোনাট ফেনি তৈরি শুরু করে সেখানকার চাষীরা। সরকারের উৎসােহ চাষীরা এখন কোকোনাট ফেনি তৈরিতে মন দিয়েছেন। আগে কেবল মাত্র স্থানীয় বাসিন্দারাই এই ফেনি খেতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে যায় যে সেটা ক্রমশ পর্যটকরেদ বিক্রি শুরু হয়। তারপরেই ফেনি বিদেশেও রপ্তানি শুরু করে গোয়া সরকার। এবং তাতে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে তারা।

মিউজিয়ামের বিশেষত্ব

গোয়ার এই ফেনি মিউজিয়ামে শুধু ফেনির উৎপত্তি ইতিহাস বা ফেনি কীভাবে তৈরি হয়। কতরকমের ফেনি পাওয়া যা তা জানা যাবে না। কোন কোন পাত্রে ফেনি পরিবেশন করা হয় তারও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। গোয়াকে সাধারণ পূর্বের রোম বলা হয়ে থাকে। গোয়ার এই সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More GOA News  

Read more about:
English summary
Know details of Goa's Feni Museum
Story first published: Tuesday, August 24, 2021, 16:31 [IST]