মাঝ আকাশে প্রসব বেদনা, মার্কিন সেনা‌ বিমানে সন্তানের জন্ম আফগান মহিলার

মাঝ আকাশে তীব্র প্রসব বেদনা। এরপরই আফগান শরণার্থী মহিলার সন্তান প্রসব হল জার্মানির রামস্টেইন এয়ার বেসে। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, মার্কিন বায়ুসসেনার সি–১৭ গ্লোবমাস্টার কার্গো বিমানে আফগানিস্তান থেকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয় আফগামন শরণার্থীদের। তখনই মাঝ আকাশে প্রসব যন্ত্রণা ওঠে মহিলার।

মাঝ আকাশে প্রসব বেদনা

মার্কিন সেনার পক্ষ থেকে টুইটে জানানো হয়েছে, ‘‌আফগানিস্তানে তালিবাদের কবল থেকে পালিয়া আসা দ্বিতীয়বার শরণার্থীদের নিয়ে যাওয়ার সময় সি-১৭ এয়ারক্রাফটে এক মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়।'‌ বৃহৎ মার্কিন বিমানটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে উড়ে জামার্নিতে অবতরণ করে। মার্কিন বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বিমান যখন ২৮ হাজার ফিট উচ্চতায় ছিল সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শরীরে জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে বিমানে বায়ুর চাপ কম থাকার কারণে।

মার্কিন কম্যান্ডারের সিদ্ধান্ত

মার্কিন সেনা বাহিনী বলেন, ‘‌বিমানের কম্যান্ডার বিমানে বায়ুর চাপ বাড়ানোর জন্য উচ্চতা থেকে নামার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে মায়ের জীবন সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল হতে পারে।'‌ রামস্টেইন এয়ার বেসে বিমান নামার পর বায়ু সেনার ৮৬ মেজিক্যাল গ্রুপের সহযোগিতায় সি-১৭ কার্গোতেই শিশুর জন্ম হয়। সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়ে, ‘‌মা ও কন্যা সন্তান দু'‌জনেই ভালো আছে ও তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।'‌

আফগানিস্তানে কি শান্তি বজায় আছে?‌

কট্টর ইসলামিক তালিবান আফগানিস্তানের দখল নিয়ে গোটা বিশ্বকে হতচকিত করে দিয়েছে। কাবুল থেকে হাজার হাজার আফগান ও বিদেশীদের বিশৃঙ্খলভাবে উদ্ধার করার জন্য তালিবানরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করেছে। তালিবানের মুখপাত্র আমির খান মুত্তাকি রবিবারই বলেন, ‘‌আমেরিকা তার সমস্ত ক্ষমতা ও সুবিধা দিয়েও বিমানবন্দরকে পরিচালনা করতে ব্যর্থ। গোটা আফগানিস্তানে শান্তি বজায় রয়েছে, শুধুমাত্র কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়ে রয়েছে।'‌ এদিকে, গত সাতদিনে কাবুল বিমানবন্দরে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো কূটনীতিবিদ। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির জন্য তালিবানদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করা আফগানদেরই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল।

অসম্ভব ডেডলাইন

আমেরিকার শত শত সেনা বিমানবন্দরকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছেন, তাদের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত শরণার্থীদের উদ্ধারের জন্য ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। তবে বিডেন প্রশাসন জানিয়েছে, ১৫ হাজার আমেরিকান এবং ৫০ থেকে ৬০ হাজার আফগান মিত্র আছে যাদের সরিয়ে নেওয়া দরকার। এদিকে, এর বাইরে অগণিত আফগান নাগরিকরা তালিবানদের অধীনে নিপীড়নের আশঙ্কা করছে এবং পালানোর চেষ্টা করছে।



খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More AFGHANISTAN News  

Read more about:
English summary
An Afghan woman gave birth on a US military plan