নিহত ৩০০ তালিবান
সূত্রের খবর, বাঘলানের বানু জেলায় আফগান সেনা আর বিদ্রোহী সংগঠনের যৌথ লড়াইয়ে অনেকটাই কাবু হয়েছে তালিবানিরা। তালিবানের জেলা প্রধান সমেত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও তালিবান বিরোধী যোদ্ধাদের দাবি, তারা এই হামলায় ৩০০ তালিবানকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে এই প্রদেশেই ২০ জনেরও বেশি তালিবানিকে বন্দী বানিয়েছে বিদ্রোহীরা। যদিও তালিবানেরা এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে।
বন্দি ২০ তালিবানি
অন্যদিকে বানু জেলার কাছেই আদরাবের বিভিন্ন এলাকা লাগাতার সংঘর্ষ চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। ফজ্র এলাকায় ৫০ জন তালিবানিকে নিকেশ করার পাশাপাশি ২০ জনকে বন্দিও বানিয়েছে আফগান সেনা। পঞ্জশিরেও তালিবানের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। আনদারাবে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুশোর বেশি তালিবান জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর।
মাঠে নেমেছেন আমরুল্লাহ সালেহ
এদিকে আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও এই হামলার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। টুইটও করেছেন তিনি। এদিকে আফগানিস্তানের উত্তর বাঘলান প্রদেশের তিনটি জেলা থেকে ইতিমধ্যেই তালিবানিদের বিতাড়িত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পাল্টা দাবি করেছে তালিবানেরা। পঞ্জশিরের বানু, ডেহ সালাহ ও পোল-ই-ঈসার জেলায় আবারও তারা নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে বলে জোরালো দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে চলছে চাপানৌতর।
পাল্টা দাবি করে টুইট তালিবান মুখপাত্রের
পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বাগলান প্রদেশ তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে, পঞ্জশির ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করে টুইট করতে দেখা গিয়েছে তালিবান মুখপাত্রকে। এই তিন প্রদেশেই পুনর্দখলের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। যদিও তালিবানের প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারির মধ্যেই অনড় নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। মাঠে নেমেছে স্বঘোষিত আফগান প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। আর তাতেই দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে তালিবান বিরোধী বিক্ষোভের আঁচ।