ডব্লু বিসিএস-এর প্রশ্নপত্রে রাজ্যের প্রকল্প
রাজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জায়গা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের স্বাস্থযসাথী প্রকল্প, গতিধারা এবং সবুজসাথীর মতো প্রকল্প। প্রিলিমিনারির ডি সেটের ৪৩ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজসাথী প্রকল্পে সরকারি-সরকারপোষিত-মাদ্রাসা-বিদ্যালয়ের কোন শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়? ৮৪ নম্বর প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে গতিধারা প্রকল্পের একজন উপভোক্তা সর্বোচ্চ কত টাকা সরকারি ভর্তুকি পেতে পারেন? ৪১ নম্বর প্রশ্নে রয়েছে গত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়েছে? ১১৮ নম্বর প্রশ্নে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিমার প্রিমিয়ামের কত শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করে?
বুদ্ধিজীবীদের নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর
দিন কয়েক আগে ইউপিএসসিতে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এবং বুদ্ধিজীবীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন ডব্লুবিসিএস-এ রাজ্যের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, যখন ইউপিএসসির পরীক্ষায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে করা প্রশ্নে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল। এখন ডব্লুবিসিএস-এ রাজ্যের প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে রাজ্যে বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে আক্রমণ করে তাঁদেরকে ভণ্ড বলেও আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সৌগত রায়ের সাফাই
এব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ তথা মুখপাত্র সৌগত রায়। তিনি এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ভুল করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানে রাজ্য সরকার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে। ভুলের কিছু নেই।
ইউপিএসসির প্রশ্ন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা
ইউপিএসসিতে সিএপিএফ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট পদের পরীক্ষা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ২০০ শব্দের রিপোর্ট লিখতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি কৃষক আন্দোলন উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা তা নিয়েও যুক্তি দিয়ে প্রবন্ধ লিখতে বলা হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানানো হয়েছিল তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল, মোদী সরকার বাংলাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, বিজেপি প্রশ্নপত্র তৈরি করে দিয়েছে। এই ধরনের প্রশ্ন নিরপেক্ষ সংস্থার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।