সাকিবের কেরিয়ার
পেটানো চেহারা, সেই সঙ্গে গতিসম্পন্ন পেস বোলিং। এই কারণে টিনএজ থেকেই ইংল্যান্ডের নির্বাচকদের নজরে পড়ে যান সাকিব। ২০১৯ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ভালো খেলার সুবাদে ওই বছরই নভেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে টি ২০ আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক। সাতটি একদিনের আন্তর্জাতিকে ১৪টি এবং ৯টি টি ২০ আন্তর্জাতিকে ৭টি উইকেট রয়েছে। ২২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৬৫টি উইকেট। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৩৪ ম্যাচে উইকেটসংখ্যা ৬৪। ৪৮টি টি ২০ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৫৯টি উইকেট। দুইদিকে বল মুভ করাতে পারেন, রিভার্স স্যুইংয়েও দক্ষ।
বিধ্বংসী ফর্মে
গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে তিন ম্যাচে ৪ উইকেট নেন, সেরা বোলিং লিডসে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট। সেই মাঠেই এবার তাঁর টেস্ট অভিষেক হতে চলেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজেও ছিলেন বিধ্বংসী ফর্মে। তিনটি ম্যাচে ৯টি উইকেট দখল করেন। সেরা বোলিং ছিল কার্ডিফে ৪২ রানের বিনিময়ে চার উইকেট। সিরিজ সেরার পুরস্কারও পান এই পারফরম্যান্সের সুবাদে। লিডসের উইকেট থেকে পেস আদায় করাই লক্ষ্য সাকিবের। মানসিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
আরও জোরে
শোয়েব আখতারকে আদর্শ মেনেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ক্রিকেট কেরিয়ার। তারকাদের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের বোলিং শক্তি যাতে দুর্বল না দেখায় সে কারণে উইকেট থেকে বাড়তি গতি আদায়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন সাকিব। তাঁর কথায়, এখন যে পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছি তাতে নিজে যতটা জোরে বোলিং করি, তার থেকে আরও গতি বাড়াতে চাই। আমি প্রতি ঘণ্টায় ৮৭-৮৮ মাইল বেগে লাগাতার বোলিং করতে পারি। কিন্তু ম্যাজিক সংখ্যা হল ৯০। ফলে আমি যদি টানা ৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় বোলিং করতে শুরু করি, তাহলে কয়েকটি বল ৯৩-৯৪ মাইলেও পৌঁছে দিতে পারব। আর টেস্ট ক্যাপের গুরুত্ব আমার কাছে অপরিসীম। এটাকেই সেরা ফরম্যাট বলে আমি মনে করে থাকি। কেউ যদি আমাকে বলেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য একটা ফরম্যাট বেছে নিতে সেটা টেস্ট ক্রিকেটই। পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে কিছুরই তুলনা হয় না। টেস্ট অভিষেক আমার কাছে স্বপ্নপূরণ।
শোয়েবের ফ্যান
সাকিব মাহমুদের রিভার্স স্যুইং, ইয়র্কার, পেস দেখে অনেকে তাঁর সঙ্গে ওয়াকার ইউনিসেরও মিল খুঁজে পান। জোফ্রা আর্চার, মার্ক উড, অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের চেয়েও তাঁর বলের জোর বেশি, বৈচিত্র্যও ভালো। তবে শোয়েব আখতারের ভক্ত কেন তিনি সেটাও জানিয়েছেন মাহমুদ। বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই পেস বোলিং আমাকে টানে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বিশ্বের সবচেয়ে জোরে বোলিং করতেন শোয়েব আখতার, তাঁকে দেখেই বড় হয়েছি। যখনই তাঁর খেলা থাকত টিভির সামনে থেকে নড়তাম না। সেই সাকিবের টেস্ট অভিষেক হলে তাঁকে বিরাট কোহলিরা কীভাবে সামলান সেটাই হেডিংলির বড় আকর্ষণ হতে চলেছে।