বাংলাতে এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনার সংক্রমণ। আজ সোমবার নবান্নে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উপনির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় ফের একবার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
তাঁর দাবি, মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের ভোট দেওয়ার। শুধু তাই নয়, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয় বলেও কমিশনকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কার্যত বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে আট দফা নির্বাচন করেছে কমিশন। বারবার তৃণমূলের তরফে দফা কমানোর কথা বলা হলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। শেষমেশ হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাতে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনও রয়েছে। আর এখানে ভোট রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে সম্ভবত ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিয়ন অনুযায়ী, ছয়মাসের মধ্যে ভোটে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে উপনির্বাচনের কোনও দিন ঘোষণা কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হচ্ছে না।
ইতিমধ্যে ডু দফাতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। আর এই ভূমিকাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর দাবি, সংক্রমণের পরিস্থিতিও আমাদের এখানে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ফলে তৃণমূল সুপ্রিমোর আবেদন, আবারও নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে যেন অবিলম্বে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়।
মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয় বলেও মত তাঁর। শুধু তাই নয়, মমতা আরও বলেন, যেখানে নির্বাচন বা উপনির্বাচন রয়েছে, সব জায়গাগুলি একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস তাঁর।
উল্লেখ্য, দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন এবং এবং পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে বাংলাতে। সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক এবং জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর মৃত্যু হয় ভোট চলাকালীন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগে মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল প্রার্থীর। এছাড়াও বিজেপির দুই বিধায়ক তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
সব মিলিয়ে বাংলার সাত বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। ইতিমধ্যে এই সমস্ত কেন্দ্রে ইভিএম সহ সমস্ত কাজ সারা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরপরেও কেন ভোটের দিন ঘোষণা করছে না কমিশন তা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্র ফের একবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল সাংসদরা। করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট হাতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা যাচ্ছে।