
কেমন ছিল দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব?
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের শীর্ষ সময়ে অর্থাৎ জুনের শুরুতে আক্রান্তের ২১.৭৪% রোগীকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, মূলত ১০ রাজ্যের বাসিন্দাদের অধিক ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, উক্ত রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ হয় সর্বাধিক। দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর প্রায় ২.২%-কে রাখতে হয় আইসিইউতে।
একমাসে প্ৰস্তুত করতে হবে দুই লক্ষ শয্যা
কেন্দ্রীয় কমিটির স্পষ্ট বক্তব্য, ফের কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁতে পারে ৪-৫ লক্ষ। অতএব আগামী মাসের মধ্যে দু'লক্ষ আইসিইউ বেড তৈরি না রাখলে যে ভারত বড়সড় সমস্যার মুখে পড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। ভি কে পল জানান, "১.২ লক্ষ বেডে ভেন্টিলেটর থাকা আবশ্যক। তাছাড়াও প্রয়োজন ৭ লক্ষ নন-আইসিইউ শয্যা। ৫ লক্ষ বেডে আগাম অক্সিজেন ব্যবস্থা রাখতে হবে।" পাশাপাশি ১০ লক্ষ বাড়তি কোভিড আইসোলেশন কেয়ার বেডের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে কমিটি।
আগামীতে ৭৭% রোগীই আইসোলেশনে
আগামী ঢেউয়ে ২৩% কোভিড রোগী ভর্তি হবেন হাসপাতালে, এঁদের মধ্যে ২.৫% থাকবেন আইসিইউতে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষক দল। পাশাপাশি প্রায় ৭৭% রোগীই থাকবেন আইসোলেশন বিভাগে, জানিয়েছে বিশেষ দল। এই ৭৭%-এর মধ্যে ৩০% রোগীকে রাখতে হবে বাড়ির বাইরের কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে। যদিও বাকি ৪৭% হোম আইসোলেশনেই থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে ভি কে পলের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
নজরে তৃতীয় ঢেউ
কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে প্রায় ২০% আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮০% ছিলেন আইসোলেশনে, খবর স্বাস্থ্যমন্ত্রক মারফত। করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউ ছিল আরও মারাত্মক। ডেল্টা সহ অন্যান্য শংকর এবং ভয়াবহ প্রজাতির কোভিড স্ট্রেনের জেরে যে হঠাৎ বাড়তে পারে দেশের কোভিড গ্রাফ, সে বিষয়ে আশঙ্কার অন্ত নেই গবেষকমহলে। ফলত আগাম প্ৰস্তুত না থাকলে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারতীয় চিকিৎসাব্যবস্থা যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে, সে সম্বন্ধে সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ভবন।