রবিবারই কাবুলে পাক-বিদেশমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে কাবুলে পৌঁছবেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। কাবুলেই আফগান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কুরেশি৷ হাক্কানি গোষ্ঠী কাবুলের সুরক্ষা তাদের হাতে নেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তালিবানের হাতে থাকা আফগানিস্তানে এই প্রথম কোনও দেশের মন্ত্রী পা রাখছেন। রাজমৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসলে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠনে নিজেদের ভূমিকা রাখতে চাইছে পাকিস্তান৷
তালিবানের সমর্থক পাকিস্তান
আশরফ গনি সরকারের আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক মোটেও সুখকর ছিল না। তার কারণ অবশ্য পাকিস্তানের তালিবানকে মদত দেওয়াই ছিল। তালিবানদের নাতে সমস্ত ক্ষতা চলে গিয়ে দেয় ছাড়ার কয়েক মাস আগে গনি স্পষ্ট বলেছিলেন আফগানিস্তানে তালিবানকে মদত দিতে জেহাদি ও অস্ত্র পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। এবং সেই সময় এমন অনেক তালিবান ধরা পড়ল ছিল যারা পাকিস্তানের বাসিন্দা ছিল।
আফগানিস্তান সফরে আগে বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা!
সূত্রের খবর এই সফরের আগে রাশিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম, টার্কি, নেদ্যারল্যান্ডসের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছেন পাক-বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি৷ এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্জেই লাভারভকে তিনি জানিয়েছেন পাকিস্তানের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আফগানিস্তানে স্থিতাবস্থা জরুরি।
পাক-সৈন খুনেও তালিবান!
পাকিস্তান তালিবানদের সমর্থণ করলেও নিজেদের জাত চেনানো বন্ধ করেনি তলিবানরা। কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখোয়াতুন হঠাৎ গুলি চালিয়ে এক পাক সৈনিককে হত্যা করেছে তালিবানরা। প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগানোতে হাত লাগালে সেই আগুনে নিজের বাড়ি এবং হাত দুটোই পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোন অবস্থায় আছে আফগানিস্তান?
তালিবানদের হাতে যাওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের ভয়াবহ সব ছবি বাইরে আসছে৷ কখনও কাবুল থেকে প্লেনে ঝুলে পালাতে গিয়ে মাঝ আকাশ থেকে ছিটকে পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরান হচ্ছে। আবার কখনও মনিলাদের উপর অকথ্য আক্রমণের ছবি সামনে আসছে৷ মহিলাদের দের জন্য সারা আফগানিস্তান জুড়ে ফতোয়া জারি হয়েছে৷ পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে তাদের চাকরি ও শিক্ষার সুযোগ। বোরখাহীন অবস্থায় তাদের বাড়ির বাইরে দেখা গেলে সরাসরি মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করছে তালিবান। সংবাদিক, সমাজকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, ন্যাটো সৈনিকদের মতো পুরনো শত্রুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে বের করে তাদের হত্যা করছে তালিবান। তাদের খুঁজে না পেলে পরিবারের লোকদেরও মারধোর এমনকি খুন পর্যন্ত করছে তালিবানরা।