একনজরে তালিবানি বিভীষিকা আফগানিস্তানে
গত রবিবার কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর থেকে আজ প্রায় আট দিন ধরে আফগানিস্তানে এখানে ওখানে মানবতা ধ্বংসের খেলায় রত রয়েছে তালিবান। মুখে শান্তি ও আফগানিস্তানের সমৃদ্ধির কথা বললেও আদপে ঠিক তার উল্টোটাই করছে তালিবানরা।
সাংবাদিক ও সাংবাদিকের পরিবারকে খুন!
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তালিবানের আদর্শ বিরোধী সাংবাদিক,ন্যাটো বাহিনী গোয়েন্দা ও সমাজকর্মীদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে তালিবানে৷ এভাবেই কাবুলে এক সাংবাদিককে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি। এবং তালিবানের ব্ল্যাকলিস্টে থাকা এক সাংবাদিকের খোঁজ চালিয়ে তাঁকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যকে গুলি করেখুন করে তালিবান। এবং ফতোয়া জারি করে তারা যাদের খুঁজছে তারা তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ না করলে তার পরিবারের লোকরা শাস্তি পাবে।
ভারতীয় দূতাবাসে লুঠপাট!
মুখে তালিবান নেতারা বলছেন তারা ভারতের শত্রু নয়। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কই রাখতে চায়৷ কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা করছে তারা। কান্দাহার, হেরাটে ভারতের দুটি দূতাবাস ছিল৷ যদিও তালিবানরা ক্ষমতা দখলের আগেই সেগুলো থেকে কর্মী সরিয়ে নিয়েছিল ভারত৷ বন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল এই দূতাবাসগুলি৷ এবং দূতাবাসের সামনে রাখা ছিল কয়েকটি গাড়ি৷ কয়েকদিন আগেই তালিবানরা দূতাবাসগুলির দরজা ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি, দামি জিনিস এবং গাড়িগুলি লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে৷
আফগান পতাকার দাবিতে চলা বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ১২ জনের মৃত্যু
তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর সমস্ত সরকারি ভবনে নিজেদের পতাকা লাগাতে শুরু করে৷ সরকারি ভবনে দেশের জাতীয় পতাকা খুলে তালিবানি পতাকার লাগানোর প্রতিবাদে জালালাবাদের একটি স্কোয়ারে প্রচুর মানুষ সমবেত হয়ে আফগান জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান৷ তাঁদের দাবি ছিল দেশের সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা থাকবে তালিবানি পতাকা নয়। এই বিক্ষোভে তালিবান সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায় এবং সূত্রের খবর ১২ জন মারা গিয়েছে এবং প্রচুর মানুষ আহত হয়েছে এই গুলি চালানোর ঘটনায়৷