লেডি তালিবান দেখতে হলে পশ্চিমবঙ্গে আসুন
সায়ন্তন বসু বলেন, তালিবানবিরোধী লোকদের খুন করে দেওয়া হচ্ছে, ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই লেডি তালিবান দেখতে হলে পশ্চিমবঙ্গে আসুন। পশ্চিমবঙ্গে তলিবানি শাসন চলছে। টিকিট কাটার দরকার নেই। দরকার নেই কাবুলে যাওয়ার। কালীঘাটেই দেখতে পাবেন লেডি তালিবান। নাম না করলও তাঁর প্রত্যক্ষ ইঙ্গিত যে মমতার দিকেই তা স্পষ্ট।
‘তালিবানি প্রথা’র সমাপ্ত হওয়া দরকার বাংলায়
সায়ন্তন বসু বাংলা জনগণের উদ্দেশে বলেন, সকলে একসঙ্গে থাকুন। বাংলায় তালিবানি প্রথা চলছে। সেই তালিবানি প্রথার সমাপ্ত হওয়া দরকার। সকলে মিলে বাংলা থেকে এই তালিবানি সরকারকে উৎখাত করতে হবে। বাংলাকে আবার সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে হবে। তা করতেই বিজেপির নেতৃত্বে মানুষকে একজোট হতে হবে।
এক সপ্তাহ কেন সারা জীবন ধরে রাখি পরাক
ত্রিপুরায় সপ্তাহকাল ধরে রাখি পরানো হচ্ছে। তৃণমূলের এই রাখি উৎসবের সমালোচনা করে সায়ন্তন বসু বলেন, এক সপ্তাহ কেন সারা জীবন ধরে রাখি পরাক তৃণমূল। কোনও অসুবিধা নেই। পুরো ৩৬৫ দিন ধরে রাখি পরাক, কোনও আপত্তি নেই। কেউ যদি রাখি ওখানে গিয়ে পরাতে থাকে, তাহলে ভালো তো।
আফগানিস্তানে গিয়ে রাখি পরালে আরও ভালো
সায়ন্তন বসু বলেন, এখানকার তৃণমূল নেতাদের বলছি, মাঝে মধ্যে আপনারা আফগানিস্তানে গিয়ে রাখি পরিয়ে আসুন। শুধু ত্রিপুরা কেন, আফগানিস্তানেও যেতে হবে। আপগানিস্তানে গিয়ে রাখি পরানোর পরিকল্পনা করলে, আরও ভালো থাকবেন। তিনি এভাবেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালিবানি-রাজের তুলনা করলেন।
বাংলা বিভাজনের সঙ্গে সহমত নন সায়ন্তন
সায়ন্তন বসু এদিন বঙ্গভঙ্গ নিয়েও তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেন। দলের মতও তিনি জাহির করেন। ২৪ ঘণ্টা আগে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলা থেকে সদ্য মনোনীত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লারর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলেন বঙ্গভঙ্গ নিয়ে। সায়ন্তন বসু পরিষ্কার বলে দেন, পশ্চিমবঙ্গকে কোনভাবেইও বিভাজন করা হবে না। বঙ্গভঙ্গ চান না তিনি, বঙ্গভঙ্গ চায় না বিজেপি। কারণ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাংলা গড়ে দিয়ে গিয়েছেন, তাঁর তৈরি করা বাউন্ডারির বাইরে আমরা যাব না। কেউ দাবি তুলতে পারেন, কিন্তু আমাদের পার্টি লাইনই হল বঙ্গের বর্তমান সীমানা রক্ষা করা।