ত্রিপুরায় তৃণমূলের মিশন রাখি পূর্ণিমা, উৎসব উদযাপনে কোন রণকৌশল নিচ্ছেন অভিষেকরা

রাখি বন্ধন উৎসব পালন

আগামিকাল রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হবে গোটা দেশে। আর এই উৎসবকে হাতিয়ার করেই ফের ত্রিপুরায় ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাখি বন্ধন উৎসবকে কেন্দ্র করে নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে শনিবার থেকেই। ত্রিপুরার আট জেলার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করবে তৃণমূল কংগ্রে। দলের ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে হবে উৎসব উদযাপন। পরিকল্পনা রয়েছে আগামিকাল ত্রিপুরায় রাস্তায় নেমে রাখি বিলি করবে দলের কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক দেওয়া রাখি বিলি করা হবে। ছাত্র যুব নেতা কর্মীরা রাস্তার পথ চলতি মানুষকে সেই রাখি পরিয়ে দেবেন।

শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা

বাংলা জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস টার্গেট করেছে ত্রিপুরাকে। আগেই যদিও ত্রিপুরায় সংগঠন ছিল তৃণমূলের। মুকুল রায়ের হাত ধরেই ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি করেছিল তৃণমূল। সেটা এবার আরও শক্তিশালী করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দফায় দফায় ত্রিপুরা সফর করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, সাংসদরা। একের পর এক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে সেখানে। খেলা হবে দিবস উদযাপনের সাফল্যের পর এবার রাখি পূর্নিমাকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল। রাখি পূর্নিমাকে সামনে রেখে জনসংযোগে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এর নেপথ্যে যে পিকের রণকৌশন রয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

খেলা হবে দিবস

কয়েক দিন আগেই ১৬অগাস্ট ত্রিপুরা জুড়ে খেলা হবে দিবস উদযাপন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দলের ৮ সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকে রাস্তায় ফুটবল নিয়েখেলা হবে দিবসে জনসংযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তৃণমূলেপ এই কর্মসূিচতেই ছিল জনসংযোগের পরিকল্পনাই। সেকারণেই খেলা হবে দিবস উদযাপনে বেশি জোর দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য খেলা হবে দিবস উদযাপনের আগের দিনই সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাংসদ দোলা সেন। তাঁকে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরেই ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস উদযাপনে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

টার্গেট ত্রিপুরা

এবার ত্রিপুরাকে টার্গেট করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সেখানে পা রেখেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক আগরতলায় পা রাখতেই অশান্তি শুরু হয়েছিল। অভিষেকের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গো ব্যাক স্লোগানও শুনতে হয়। তারপরেই ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন দেবাংশু, জয়া দত্তরা। তাঁদের গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। খোয়াই থানায় আটকে রাখা হয়েছিল তাঁদের। দেবাংশুদের ছাড়াতে খোয়াই থানায় ধর্না দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসুরা। তারপরেই তাঁদের নামে এফআইআর দায়ের করে খোয়াই থানার পুলিশ।