মার্কিন সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুকে
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা গিয়েছে যে একটি শিশু তাঁর হাত প্রসারিত করে কাঁটাতারের দেওয়ার পেরিয়ে মার্কিন সেনার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যা দেখার পর নেটিজেনদের পক্ষ থেকে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া আসতে দেখা গিয়েছে। এই সব ছবি, ভিডিও ভাইরাল হতেই বিমানবন্দরের অরাজকতা এবং উদ্ধার কাজের প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসনের আগের থেকে কোনও পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি সমালোচিত হয়েছে।
বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে যে বিমানবন্দরে ওই শিশুটির চিকিৎসার পর তাকে তার বাবার হাতে নিরাপদে তুলে দেওয়া হয়েছে। মেজর জেমস স্টেনজার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভিডিওতে যে শিশুটিকে দেখা গিয়েছে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।' তবে তিনি এও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি যে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং বিমানবন্দরে সুরক্ষিত রয়েছে।' অন্যদিকে সমাসোচকদের জবাব দিতে মেজর স্টেনজার জানিয়েছেন যে মার্কিন সেনা তাঁদের পেশাগত ও সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে দ্রুত-সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশংসিত।
শিশুদের বাঁচাতে মরিয়া আফগানরা
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান তালিবানের দখল যাওয়ার পর থেকেই কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একাধিক মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে। আফগানদের তালিবানি শাসন থেকে বাঁচতে মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। এরই মাঝে দেখা গিয়েছে, নিজে না বাঁচতে পারলেও নিজেদের সন্তানকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আফগান অভিভাবকরা। বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে মায়েরা নিজের সন্তানদের কাঁটাতারের উপর ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন বিমানবন্দরে। সেই শিশুদের ধরে বিমাবন্দরের ভিতরে ঢোকাচ্ছেন জওয়ানরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা দেখে স্তম্ভিত বিশ্ব।
তালিবানরা শিশুদেরকেও ছাড়ছে না
শীর্ষস্থানীয় এক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভয়ঙ্কর দৃশ্য। মায়েরা তাদের সন্তানকে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছেন আর বলছেন, ওদের বাঁচান। এমন ছবি কোনওদিন দেখতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারছি না। সেনাবাহিনী অনেকেই সেই ঘটনা দেখে কেঁদে ফেলছেন। কাঁটাতারের বেড়াতেও আটকে যাচ্ছে অনেক শিশু। যন্ত্রণয়া তারা ছটফট করছে।' রাষ্ট্রপুঞ্জ সম্প্রতি জানিয়েছে যে তালিবানরা ২৭ জন শিশুকে হত্যা করেছে। যা থেকে স্পষ্ট শিশুদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না।