কী বলছে ইতিহাস
এদিকে আহমেদ শাহ মাসুদের ছয় সন্তানের মধ্যে সবথেকে বড় এই আহমদ মাসুদই। বর্তমানে পঞ্চশির উপত্যকায় আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেহ ও আহমদ মাসুদের লোকজনই তালিবানদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন বলে জানা সমবেত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত যখন গোটা আফগানিস্তানে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তালিবান, তখন তাদের বিরুদ্ধে বিশাল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল প়ঞ্জশিরই।
একনজরে পঞ্জশিরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
এদিকে পঞ্জশিরের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় পাঁচটি সিংহ। বলা বয় দশম শতকে এই প্রদেশে পাঁচ ভাই মিলে বন্যার জল ধরে রাখতে একটি বাঁধ তৈরি। তারপর থেকেই তাদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাতেই এই প্রদেশের নাম হয় পঞ্জশির। ইতিহাস বলছে, সুলতাম মাহমুদ গজনির জন্যে সেই বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল বলে কথিত আছে।
এক লক্ষের কাছাকাছি মানুষের বাস পঞ্জশিরে
এদিকে এই এলাকাতে মোট এক লক্ষের বেশি মানুষের বাস। তবে এই প্রদেশের অধিকাংশ মানুষ তাজিক। কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে এই প্রদেশ আদপে একটি দুর্গের মতো অবস্থান করে। এই এলাকার চারদিকে রয়েছে হিন্দুকুশ পর্বতমালা। মাঝে রয়েছে একটুকরো সমতলভূমি, আর সেখানেই রয়েছে সাধারণ মানুষের বাস। ওয়াকিবাহল মহলের মতে এই কারণেই এই অঞ্চসে যুদ্ধ করা কার্যত অসম্ভব। তাই গোটা আফগানিস্তানের দখল নিলেও এই এলাকায় পা রাখতে পারেনি তালিবানেরা।
দিকে দিকে গর্জে উঠছে তালিবান বিরোধী প্রতিবাদ
এদিকে ১৯ অগাস্ট আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকেই দিকে দিকে গর্জে উঠছে তালিবান বিরোধী প্রতিবাদ। তালিবানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই আফগানিস্তানে স্বাধীনতা দিবসে একাধিক জায়গায় ওড়ে জাতীয় পতাকা। অন্যদিকে তালিবানদের গুলিতে প্রাণ হারান ১২ জন। আহত হন বহু।শুক্রবারও জারি রয়েছে সেই বিক্ষোভের আঁচ।এদিকে বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ -পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত শহরে কারফিউ জারি করে তালিবানেরা।
বিক্ষোভের আঁচ কাবুলেও
এদিকে জালালাবাদ সহ পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে জাতীয় পতাকা নিয়ে তালিবান বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচীর আয়োজন করা হলেও সেখানেও ঘটে রক্তপাত। যদিও তারপরেও বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলেও একই ধরনের মিছিল হয়েছে। এদিকে পঞ্জশির এলাকা থেকেই তালিবানের বিরুদ্ধে জোট তৈরি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন আফগানিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট সালেহ। এই সালেহকেই পূর্ণ সহযোগিতা করছে বিখ্যাত তালিবান বিরোধী যোদ্ধা আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ।