তালিবানে রয়েছে দুই মালয়ালি? ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

আফগানিস্তানে ফের শুরু হয়েছে তালিবান রাজ। গত রবিবারই কাবুল দখলের পর গোটা দেশেই প্রশস্ত হয়ে যায় তালিবানদের জয়ের রাস্তা। এদিকে ফের ২০ বছর পর তালিবানি শাসন দেখতে চলেছে আফগানিস্তান। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। এদিকে সম্প্রতি তালিবানদের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ভারত যোগের কথা শোনা যাচ্ছে। যা নিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনুমান করা হচ্ছে তালিবানদের মধ্যে কেরল বংশোদ্ভূত সদস্যরাও থাকতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় চাপৌনতর

সম্প্রতি টুইটারে এক সাংবাদিকের করা টুইটেই পড়ে যায় শোরগোল। তাঁর শেয়ার করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পাশে বন্দুক রেখে কাঁদছে এক ব্যক্তি। তার হাতে ফোনও ছিল। আর ঠিক সেই সময় তাকে সান্তনা দিচ্ছে আর এক ব্যক্তি। যিনিও তালিবান। তার হাতেও রয়েছে বন্দুক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কাবুল জয়ের কথা শোনা মাত্রই বিজয়োল্লাসে কান্নায় ভেঙে পড়ে তালিবানিরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জয় হাসিল হওয়াতেই কেঁদে ফেলেন ওই তালিবান সদস্য। কিন্তু সেই সময় দুজনের কথোপোকথন নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানৌতর।

টুইটে কি বলছেন থারুর

অনেকে বলছেন দক্ষিণ ভারতের কোনও ভাষায় কথা বলছে তারা। কেউ কেউ তো আবার তাদের কথায় বাংলার টান খুঁজে পাচ্ছেন। এদিকে সম্প্রতি এই ভিডিওটি রিটুইট করে কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর আবার তাদের সঙ্গে কেরল যোগ জুড়ে দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘শুনে মনে হচ্ছে, যেখানে এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে সেই সময় তালিবান দলে কমপক্ষে দু'জন মালায়ালি তালিবান রয়েছে। আট সেকেন্ডের কাছে একজন বলছে samsarikkette। যা আদপে মালায়ালাম। এদিকে অন্যজন তার কথা শুনে উত্তর দিচ্ছে। তারমানে দুজনেই ওই ভাষা বোঝে।'

ব্রাভি ভাষার সঙ্গে মিল দ্রাবিড়ীয় ভাষার ?

যদিও শশী থারুরের এই রিটুইটের পরেও তৈরি হয় একাধিক বিতর্ক। পক্ষে বিপক্ষে উঠে আসছে একাধিক মতামত। যদিও যে সাংবাদিক প্রথম এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তাঁর দাবি তালিবানে আদপে কোনও কেরল বংশোদ্ভূত মানুষ নেই।যাদের দেখা যাচ্ছে তারা জাবুল প্রদেশের বালোচ। ওরা মূলত ব্রাভি ভাষায় কথা বলে থাকে। এই ব্রাভি ভাষার সঙ্গে দ্রাবিড়ীয় ভাষার বিস্তর মিল আছে। আর সেই কারণেই অনেকের মনে হয়ে থাকতে পারে তারা মালায়ালি ভাষায় কথা বলছেন।

কেরল যোগ নিয়ে পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হতে পারছেন না থারুর

এদিকে ওই সাংবাধিকের ব্যাখ্যা আংশিক ভাবে মেনে নিলেও কেরল যোগ নিয়ে পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হতে পারছেন না থারুর। তার মতে ভাষাবিদেরাই এর সঠিক ব্যাখা দিতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে দক্ষিণভারতে জঙ্গি উত্থান অনেক দ্রুত গতিতে হয়েছে। এমনকী আইসিসেও যোগ দিয়েছেন অনেক তরুণ-তরুণী। আর সেই তথ্য মাথায় রেখেই এই সম্ভাবনার কথা বলছেন শশী থারুর, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More CONGRESS News  

Read more about:
English summary
there are two malayalees in the taliban the noise surrounding the viral video on social media