রাখির বদলে দেওয়া হবে মাস্ক
এদিকে করোনা আবহে রাখিবন্ধন উৎসব পালন যে ঝুঁকিপূর্ণ, তা মানছেন সরকারি আধিকারিকেরাও। কিন্তু উৎসবের গুরুত্ব বিবেচনা করেই দিনটিকে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ব্যবহার করতে চাইছে সরকার, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত বিভাগ ও সমস্ত পৌর এলাকাতেও পৌঁছে গিয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। এদিকে রাখি পূর্ণিমার দিনটিকে প্রতি বছরই সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালন করা হয় রাজ্য ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের তরফে। আমজনতাকে রাখিও পরানো হয় দফতরেরই উদ্যোগে।
মাস্ক বিলির কাজ করবে পুলিশ
কিন্তি করোনার দাপাদাপিতে গত বছর থেকে সেই রীতিতে আসে বদল। গত বছরেও যুব কল্যান দফতরের তরফে রাখির বদলে বিলি করা হয়েছিল মাস্ক। এমনকী রাজ্যেব্যাপী এই কাজকে সাফল্য মন্ডিত করতে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল তদানন্তীন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশকে রাখির জায়গায় ৬ লক্ষ মাস্ক দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। থানা ভিত্তিক এলাকায় মাস্ক বিলির কাজ করবে পুলিশও।
মাঠে নামছে রাজ্য ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর
এদিকে গত বছরের মতো এবারও এই পরিকল্পনাকে সাফল্য মন্ডিত করতে পুরোদমে মাঠে নামছে রাজ্য ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতর। শুধু এই বিভাগের তরফেই ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার মাস্ক কেনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তা বিলির কাজ করবে পুলিশ সহ অন্যান্য বিভাগও। এদিকে ইতিমধ্যেই বাংলার বুকে বেজে গিয়েছে পুজোর বাদ্যি। এমতাবস্থায় উত্সব মুখর বাংলায় যাতে নতুন করে করোনার দাপাদাপি না শুরু হয়ে যায় সেই বিষয়ে আগেই সকলকে সাবধান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাখির বদলে মাস্ক বিলির চিন্তা যদিও প্রথম আসে তার মাথাতেই।
একনজরে বাংলার করোনা চিত্র
এদিকে বর্তমানে এখনও পর্যন্ত সারা বাংলায় করোনার কবলে পড়েছেন ১৫ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭১৫। বর্তমানে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে উত্তর চব্বিশ পরগণা ও কলকাতা থেকে। বর্তমানে রাজ্যে মৃত্যুহার দাঁড়িয়েছে ১.২ শতাংশ।