|
সেবাস্টিয়ানের প্রশংসা
নাইরোবিতে অনূর্ধ্ব ২০ চ্য়াম্পিয়নশিপ চলার সময় ভারতীয় অ্যাথলিটদের মুখোমুখি হন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান কো। অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ৪x৪০০ মিক্সড রিলে ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ জেতা ভারতীয় অ্যাথলিটদের প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ হন। ভরত, প্রিয়া, সামিদের আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন কো। একই সঙ্গে টোকিও গেমসে ভারতের দুর্দান্ত সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের সভাপতি। সন্তোষের সঙ্গে উল্লেখ করেন অ্যাথলেটিক্সে ভারতের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথা। উত্তরসূরিদের সেই ধারাকে আরও সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন সেবাস্টিয়ান কো।
অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পদক জিতল ভারত। কেনিয়ার নাইরোবিতে চলতে থাকা প্রতিযোগিতার ৪x৪০০ মিক্সড রিলে ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করল দেশের মিক্সড দল। কেনিয়ার নাইরোবিতে চলতে থাকা অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ৪x৪০০ মিক্সড রিলে ইভেন্টে ভারতের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন ভরত শ্রীধর, প্রিয়া মোহন, সামি ও কপিল। প্রতিযোগিতা শেষ করতে তাঁরা ৩ মিনিট ২০.৬০ সেকেন্ড সময় নেন। ইভেন্ট থেকে সোনা জেতা নাইজেরিয়া ৩ মিনিট ১৯.৭০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে। ৪x৪০০ মিক্সড রিলে ইভেন্টে ফাইনালে দ্বিতীয় হয়েছে পোল্যান্ড। প্রতিযোগিতা শেষ করতে ৩ মিনিট ১৯.৮০ সেকেন্ড সময় নেন পোলিশ অ্যাথলিটরা। টোকিও অলিম্পিকের সফলতার আবহে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের এই পদক জয়কে উল্লেখযোগ্য বলে ধরা হচ্ছে।
অনূর্ধ্ব ১৯ অ্যাথলিটদের পারফরম্যান্স
প্রতিযোগিতার ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। ৩ মিনিট ২৩.৩৬ সেকেন্ডে রেস শেষ করার পাশাপাশি দুই হিট মিলিয়ে দ্বিতীয় হয়ে ইভেন্টের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছিলেন ভরত শ্রীধর, প্রিয়া মোহন, সামি ও কপিল। ৩ মিনিট ২৩.৩৬ সেকেন্ডে রেস শেষ করে হিট ওয়ানে প্রথম হয় ভারতীয় দল। যা বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে নথিভূক্ত হতে পারত, যদি না নাইজেরিয়ার অ্যাথলিটরা একই ইভেন্টের দ্বিতীয় হিটে ৩ মিনিট ২১.৬৬ সেকেন্ডে প্রতিযোগিতা শেষ করতেন। অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের শট পাট ইভেন্টের ফাইনালে পৌঁছেছেন ভারতের অমনদীপ ধালিওয়াল। মহিলাদের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালে পৌঁছেছেন ভারতের প্রিয়া মোহন।
নীরজ চোপড়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে
টোকিও অলিম্পিকের পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টের ফাইনালে ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব বর্শা নিক্ষেপ সক্ষম হয়েছিলেন নীরজ চোপড়া। অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্স থেকে দেশকে প্রথম সোনার স্বাদ দিয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেন। টোকিও অলিম্পিকের ওই ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জন পর্বেও প্রথম হয়েছিলেন নীরজ। ওই রাউন্ডে ৮৬.৬৫ দূরত্বে বর্শা ছুঁড়েছিলেন ভারতের গর্ব। চলতি বছরই পাতিয়ালায় হওয়া ইন্ডিয়ন গ্রাঁ পি-তে ৮৮.০৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়েছিলেন নীরজ। যা জাতীয় রেকর্ডও বটে। ২০১২ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন নীরজ চোপড়া। ৬৮.৪৬ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথম ৭০ মিটারের গণ্ডী পেরিয়েছিলেন নীরজ। ২০১৫ সালে ৮০ মিটারের গণ্ডী পেরিয়েছিলেন ভারতীয় অ্যাথলিট। পাতিয়ালায় অনুষ্ঠিত হওয়া ভার্সিটি চ্যাম্পিয়নশিপে ৮১.০৪ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করে সোনা জিতেছিলেন পানিপথের তরুণ। ২০১৬ সালে পোল্যান্ডে হওয়া অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৮৬.৪৮ মিটার দূরত্বে তিনি বর্শা নিক্ষেপ করে সোনা জিতেছিলেন ভারতীয়। তাঁরই উত্তরসূরি হিসেবে রশিদ, প্রিয়াদের উত্থানকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।