কাবুলের পরিস্থিতির উপর সাবধানী নজর ভারতের
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে আফগানিস্তানে তালিবান সঙ্কট নিয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি। অন্যদিকে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছিল তালিবানদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে ভারত সরকার। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জয়শঙ্কর এদিন বলেন, ‘এই কথার এই মূহূর্তে বিশেষ ভিত্তি নেই। এই মুহূর্তে খুবই সাবধানে আমারা কাবুলের পরিস্থিতির দিকেই নজর রাখছি।'
কি চাইছে তালিবানেরা
এদিকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আফগানিস্তান তালেবানিদের কব্জায় চলে যাওয়ায় প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সব থেকে বেকায়দায় পড়েছে ভারত। সেই সঙ্গে তালিবানিদের সঙ্গে মিলে ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান ও চিনও। এদিকে তালিবানেরা কাবুল দখলের আগে ভারত স্পষ্টতই জানিয়েছিল জোরপূর্বক দখল করলে তারা তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। এদিকে তালিবানেরা চাইছে ভারত তাদের অবস্থান বদলাক। এমনকী শেষ করুক সেদেশে চলতে থাকা একাধিক প্রজেক্ট।
কি বললেন বিদেশ মন্ত্রী
এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিদেশ মন্ত্রী আরও জানান, আফগানিস্তানের মানুষের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তা আমরা বজায় রাখব। তবে বর্তমানে সেদেশে আটকে থাকা নাগরিকদের দেশে ফেরানোই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে শুধু আমরা নয় অন্যান্য দেশও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর দিয়েছে।'
কোথায় দাঁড়িয়ে ৩০০ কোটির বিনিয়োগ ?
সহজ কথায় আফগানিস্তান নিয়ে ভারত বর্তমানে ওয়েট অ্যান্ড ওয়াত নীতিতে শান দিয়েই এগোতে চাইছে। তবে এখন না হলেও প্রয়োজনে যে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে ভারত সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন তিনি। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে এর পিছনে অবশ্যই আফগানিস্তানে করা ভারতের বিনিয়োগের ভবিষ্যতের কথা যে ভাবছে নয়া দিল্লি তা স্পষ্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেদেশে বিভিন্ন সেক্টরে ভারত এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।