তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েছে। আর এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তৃণমূল সাংসদ। শুধু তাই নয়, মোদীর কাজের জন্যে গর্বিত তিনি। আর এই মর্মেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। খোদ মোদীর ভুয়সী প্রশংসা করে সাংসদের এই চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনা।
তাহলে কি বিজেপির পথেই দিব্যেন্দু? মেদিনীপুরের মাটিতে অন্তত এই চিঠির পর এটাই সবথেকে বড় গুঞ্জন! যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের এই সাংসদ।
ভয়ঙ্কর অবস্থা আফগানিস্তানের। দীর্ঘ ২০ বছর পর কাবুলের ক্ষমতা তালিবানদের হাতে। এই অবস্থায় যেভাবেই হোক ফিরতে চাইছেন সে দেশের মানুষরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আফগানকে ফিরিয়েও এনেছে ভারত। কিন্তু কাবুল থেকে ভারতীয় আধিকারিকদের ফেরাতে দফায় দফায় তালিবানদের বাঁধার মুখে পড়তে হয় ভারতকে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় হাইকমিশনারের আধিকারিকদের দেশে ফেরাতে আম্রিকার সঙ্গে আলোচনা করতে হয়েছে। এরপর এয়ারলিফট করে কাবুল থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। কার্যত যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে।
আর যেভাবে দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে ভারতীয়দের কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সেজন্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কার্যত স্যালুট জানিয়েছেন সাংসদ।
তিনি লিখেছেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও একবার আপনি আমাদের গর্বের কারণ হলেন। আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রবেশের পর প্রবাসী ভারতীয় ও কূটনীতিকদের যে পদক্ষেপ করেছেন, তা উল্লেখযোগ্য। আপনার নেতৃত্বে বিদেশ মন্ত্রক যে বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়েছে, তা অনস্বীকার্য। আফগানিস্তানের শিখ বা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য যে বার্তা আপনি দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন।
শুধু তাই নয়, সরকার যেভাবে তৎপরতা দেখাচ্ছে তাতে ভারতীয় হিসাবে গর্বিত বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভুয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। আর তাতেই অন্য গন্ধ পেতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাননি। অন্যদিকে বিষয়টিকে নিয়ে খুব গুরুত্ব দিতেও নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই মুহূর্তে বাড়ির দুই সদস্য শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন আগে ছোট ভাই সৌমেন্দুকেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
তবে একদিকে যেমন দিব্যেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা রয়েছে তেমনই শিশির অধিকারীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। তিনি তৃণমূলে নাকি বিজেপিতে অবস্থান স্পষ্ট করতে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন খোদ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। যদিও সেই উত্তর দিতে একমাস সময় চেয়ে নিয়েছেন শিশিরবাবু।