মুকুলকে নিশানা দিলীপের
এক দলে থাকাকালীনই সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছিল। দলবদলে সেই তিক্ততা েয বিরোধিতায় পরিণত হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিেত েফর সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ মন্তব্য করেন বিধানসভায় যাঁওয়ার ওঁর মুখ নেই। কারন তিনি একটি দলের প্রতীকে জিতে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুকুল রায়ের বিধানসভা খারিজের আবেদনের শুনানি ছিল গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার। কিন্তু মুকুল রায় সেই শুনানিতে নিজেই উপস্থিত ছিলেন না। তিনি স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন ১ মাস পরে এই নিয়ে জবাব দেবেন তিনি। মুকুল রায় উপস্থিত না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই পিছিয়ে যায় শুনানি।
দলবদল কেন
বিধানসভা ভোটের শুরু থেকেই মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ভোট যত এগিয়েছে সেই দূরত্ব আরও বেড়েছে। একুশের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর মুুকুল-দিলীপ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ে। তারপরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। তাঁর এই দলবদল নিয়ে এদিন বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি অভিযোগ করেছেন চাপে পড়েই দল বদল করেছেন মুকুল। এখন বুঝতে পারছেন। তাই আর বিধানসভায় আসতে পারছেন না। বলে এদিন দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে এবার আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেছেন , 'মুকুলের বিধানসভায় যাওয়ার মুখ নেই। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কলুষিত করেছেন, যাঁরা গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করেছেন, মানুষের মত নিয়ে জিতে, নিজের পছন্দ মতো দল বদল করেছেন, এই নির্বাচন পদ্ধতিকেও কলুষিত করেছেন, উনি নিজেও জানেন এটা অন্যায়। তাই আমরা কেস করেছি। কোর্টেও লড়ব।'
আগেই এই নিয়ে আদালতে মামলা করার কথা বলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দল বদল নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
গতকাল থেকে বিজেপির অন্দরে ভাঙন শুরু হয়েছে। টলিউডের দুই শিল্পী যোগ দিয়েছেন বাম দলে। এই নিয়ে পাল্টা তাঁদের নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, সেলিব্রেটিরা তো আন্দোলন করেন না, মারও খান না। তাঁরা শোভা বাড়ান। আমাদের দলের শোভা বাড়ানোর জন্যও নাম হয়েছিল। যাঁরা পার্টির আদর্শের সঙ্গে যুক্ত হতে চান, তাঁরা রয়েছেন। যাঁরা এসেছিলেন বিশেষ পরিস্থিতিতে, তাঁরা মনে করছেন থাকাটা ঠিক হচ্ছে না। আমরাও ঝামেলায় তাঁদের ডাকি না।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রূপা এবং অনিন্দ্য যোগ দিয়েছেন সিপিএমে। তাই নিয়ে আবার বামপন্থী শিল্পী মহলে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যেই এর বিরোধিতা করেছেন রাহুল এবং শ্রীলেখা মিত্র।