ত্রিপুরায় হাইকোর্টে ধাক্কা তৃণমূলের, অভিষেক-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলায় মিলল না স্থগিতাদেশ

ত্রিপুরা হাইকোর্টে (tripura high court) ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। এদিন তৃণমূলের তরফে দায়ের করা মামলায় রাজ্যের পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে স্থগিতাদের দিতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট। যার জেরে ত্রিপুরা পুলিশ এই রাজ্য থেকে যাওয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee) -সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত

তৃণমূলের নেতারা বারবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরা একাধিকবার সেখানে গিয়েছেন গত একমাসে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল খোয়াই থানার বসে থাকতে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া তৃণমূলের নেতারা পুলিশের কাজে বাধা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে পুলিশ ১০ অগাস্ট মামলা দায়ের করে। ছয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৮ অগাস্ট খোয়াইয়ে পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে ১৮৬ ও ৩৬ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

জয় তাদেরই দাবি তৃণমূলের

যদিও দিন কয়েক আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুবল ভৌমিকের দাবি হাইকোর্টের রায়ে জয় হয়েছে তাদেরই। প্রসঙ্গত তৃণমূলের হয়ে পুলিশের তদন্তের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন সুবল ভৌমিকই। এই তৃণমূল নেতা বলেছেন, আদালত নির্দেশ দিয়েছে এই মামলায় পুলিশ আর কোনও ধারা যোগ করতে পারবে না। এছাড়াও আদালতের অনুমতি ছাড়া পুলিশ কোনও রিপোর্টও জমা দিতে পারবে না।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা

ত্রিপুরা পুলিশের তরফ থেকে যেসব নেতামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা বলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্যসভার সদস্য দোলা সেন, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, ত্রিপুরার নেতা সুবল ভৌমিক এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস।
ত্রিপুরার অ্যাডভকেট জেনারেল সিদ্ধার্থশঙ্কর দে জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি অখিল কুরেশি আবেদন সোনার পরে তা বাতিল করে দিয়েছেন, তদন্ত চালু রাখতে বলেছেন। এছাড়াও আদালত এব্যাপারে সেখানকার সরকার এবং এই মামলার সঙ্গে যুক্তদের নোটিশ পাঠিয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, খোয়াই থানা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতের অনুমতি ছাড়া জমা দিতে পারবে না।
এদিন শুনানিতে আবেদনকারীদের তরফে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এবং মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনালের বিশ্বজিত দেব।

পুলিশের বিরুদ্ধে হাত তুলে কথা

আদালতে আবেদনকারী তথা তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ১৪ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু-সহ তৃণমূল নেতারা খোয়াই থানায় গিয়েছিলেন। ১৪ জনকে আদালত মুক্ত করে দেওয়ার পরে সবাই আগরতলায় চলে যান। সেই সময় পুলিশ কোনও কথা বলেনি বলে জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক। তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, খোয়াই পুলিশ স্টেশনে তৃণমূল নেতারা হাত তুলে কথা বলছেন।

দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে মমতা-অভিষেকের নামে স্লোগান, তারপর যা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিদিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে মমতা-অভিষেকের নামে স্লোগান, তারপর যা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

More TRINAMOOL CONGRESS News  

Read more about:
English summary
TMC got big push form Tripura HC on police probe against Trinamool Congress leaders including Abhishek as HC didn't give stay order
Story first published: Wednesday, August 18, 2021, 21:21 [IST]