কী বলছে USA বায়ুসেনা?
সম্প্রতি এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে আমেরিকার বায়ু সেনা জানিয়েছে কাবুল থেকে ফেরা তাদের বিমানের চাকার গর্তে মানুষের দেহের কিছু অংশ আটকে ছিল৷ এতে পরিষ্কার হয়ে যায় সোশ্যালমিডিযায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও মোটেও ফেক ছিল না৷ কিন্তু কোন অবস্থাতে মানুষ বিমানের চাকাতেও আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়? সেই ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা কল্পনা করতে পারছেন না অনেকেই৷
কী অবস্থায় কাবুল?
গত রবিবারই কাবুল দখল করে নিয়েছিল তালিবানরা। দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন আফগানিস্থানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরফ গনি। তারপর থেকেই কাবুল জুড়ে ভয়ঙ্কর বিভীষিকা নেমে এসেছে৷ রাস্তায় রাস্তায় চলছে গুলি, বিস্ফোরণ৷ সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মেয়েরা কোনভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে চাইছেন৷ সেখান থেকেই বিমানের চাকাতে ঝুলে পালাতে গিয়েই এই মর্মান্তিক পরিনতি বলে জানা গিয়েছে৷
কাবুল থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফেরাচ্ছে বিভিন্ন দেশ
তালিবানরা কাবুল দখল করার পর থেকেই বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের এবং আফগানিস্তানে থাকা দূতাবাস কর্মীদের সরানোর কাজ শুরু করেছে৷ আমেরিকার বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সোমবার প্রচুর আফগান মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। তখন আমেরিকার বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানটি উড়ানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ প্রচুর লোকের কারণে বাধ্য হয়েই তড়িঘড়ি কাবুল থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্য রওনা দেয় সি-১৭। বিমান আমেরিকার মাটি স্পর্শ করার পর বায়ুসেনার নজরে আসে মানুষের দেহাবশেষ লেগে রয়েছে বিমানের চাকায়৷
তালিবানি ফতোয়া!
কাবুল তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই একাধিক ফতোয়া জারী করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি। বিশেষ করে তালিবানরা মহিলাদের জন্য আফগানিস্তানকে জীবন্ত নরকে পরিনত করেছে আফগানিস্তানকে৷ সবসময় বোরখা ও হিজাব পরা, বাড়ির বাইরে পা না রাখা, টিভি, রেটিও না দেখা ও শোনা, জোরে কথা না বলা, এমনকি ঘরের মধ্যে থাকলেও যাতে বাইরের কোনও পুরুষ দেখতে না পায় তার জন্য যে ঘরে মেয়েরা থাকবে তার জানালার কাঁচ কালো রঙ করে দেওয়ার মতো ফতোয়াও জারী হয়েছে৷
টুইটারে ভাইরাল মেয়েদের হাহাকার!
আফগানিস্তানের একাধিক মহিলা পরিচালক, সাংবাদিক এই বিষয়ে টুইটারে নিজেদের জীবনহানির ভয়ের কথা প্রকাশ করেছেন। সেই সব টুইটার ভিডিওগুলিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়