ভোটের ফল বেরনোর পরেই মামলা দায়ের
ভোটের ফল বেরনোর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর আসতে শুরু করেছিল। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর জাস। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ভোট পরবর্তী অশান্তিতে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার আবেদন কিনি করেছিলেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতি বেঞ্চ গঠিত হয়। এই বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিরাচরপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। বিচারপতিরা মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রিপোর্ট দিতে। যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
৩০ জুন জমা পড়েছিল রিপোর্ট
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের তরফে মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছিল। সেই মতো সাত সদস্যের কমিটি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে এবং সিলবন্ধ খামে তার জমা পড়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে। শুনানির সময়েই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবীর রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল যাদবপুরে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের তদন্তে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছিল।
২ জুলাই কমিটির মেয়াদ বাড়ায় হাইকোর্ট
রাজ্য সরকার বারে বারে বলেছে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রী বারে বারে বলেছেন, হিংসার ঘটনা হয়েছে ভোট চলাকালীন সময়ে কিংবা ভোটের আগে, যে সময় রাজ্য প্রশাসন ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু রাজ্য সরকারের যুক্তি হাইকোর্ট মানতে চায়নি। ২ জুলাই শুনানির সময়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে হাইকোর্টে নিজেদের জয় দেখেছিল বিজেপি। তারা কটাক্ষ করে বলেছিল মুখ পুড়েছে সরকারের।
শুনানিতেই প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা
শুনানির সময়েই প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছিল হাইকোর্ট। হিংসা নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা না পড়লেও, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়ে। আর হিংসা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের যেসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলির তদন্ত দায়সারা ভাবে করা হয়েছিল বলে আদালত মন্তব্য করেছিল।