তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর কাবুলে ফিরে এলেন তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে তিনি ফিরে আসেন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। তিনি দোহায় আমেরিকা ও আফগান সরকারের সঙ্গে শেষ পর্যায়ের শান্তি বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের কাবুলে ফিরে আসা ইঙ্গিত করছে, তিনিই আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। যদিও ইতিপূর্বে আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে আফগানিস্তানের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সেই পোস্টের পর তালিবান-রাজ আফগানিস্তানের সংঘাতের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
যদিও দুইপক্ষই আর রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও সংঘাতের রাস্তায় হাঁটতে নারাজয। তাঁরা শাস্তিস্থাপনের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আফগানিস্তানে নয়া তালিবান সরকারের নেতৃত্বে থাকতে পারেন মোল্লা আবদুল গনি বরদারই। তিনিই হতে পারেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এই সরকার এখন শুধু তালিবান প্রতিনিধিদের নিতে গঠিত হবে, নাকি সেখানে অন্য গোষ্ঠীর নেতারাও সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বর্তমান তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর ছিলেন সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ডান হাত। ওমরের উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর নামই আলোচনায় ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচিতে বরাদর গ্রেফতার হন। এরপর ২০১৫-য় আমেরিকায় বিমানহানায় ওমরের মৃত্যু হয়। ওমরের পরবর্তী তালিবান নেতা হন আখতার মনসুর।
পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে আখতার মনসুরও ড্রোন হামলায় নিহত হন। তারপর তালিবানের নেতা হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়ার পর ফের তালিবান সংগঠনে যোগ দেন মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। ক্রমেই তিনি অন্যতম শীর্ষ নেতা হয়ে ওঠেন। দলের প্রথম চার জনের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তারপর দলের প্রতিষ্ঠা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুবের সঙ্গে বরাদরের সম্পর্কও নিবিড়। তবে মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের পথ একেবারে কণ্টকমুক্ত নয়। কারণ সংগঠনের আর এক শীর্ষনেতা সিরাজউদ্দিন হক্কানির সঙ্গে তাঁর মতবিরোধী রয়েছে কিছু বিষয়ে।
এদিকে আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে আফগানিস্তানের 'কেয়ার টেকার' প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমি আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের 'কেয়ার টেকার' প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করছি নিজেকে। তিনি লিখেছেন, "প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি, পালানো, পদত্যাগ বা মৃত্যুতে আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, দেশের তত্ত্বাবধায়কই রাষ্ট্রপতি হয়। আমি বর্তমানে আমার দেশের ভিতরে আছি এবং সেই হিসেবে বৈধ কেয়ার টেকার প্রেসিডেন্ট।