সজল ঘোষের বাড়িতে দিলীপ
গতকালই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কয়েকদিন আগেই মুচিপাড়ায় তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল সজলবাবুকে। সাদা পোশাকে পুলিশ না তৃণমূলের গুণ্ডারা এসেছিল এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বিজেপি। গতকাল আদালত সজল ঘোষকে জামিন দেয়। তারপরেই তাঁর বাড়িতে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বাড়িতে পৌঁছেই দিলীপ ঘোষ তাঁকে মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা জানান।
মমতাকে নিশানা দিলীপের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গেও তালিবানি শাসন চলছে। খানে মানুষ প্রতিবাদ করলে তাঁকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যেমন করা হয়েছে সজল ঘোষের সঙ্গে। রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাস করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সজল ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। পুলিশ যেভাবে সজল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে তার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। কোথায় পুলিশ এভাবে গ্রেফতার করে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
ত্রিপুরা নিয়ে নিশানা
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের খেলা হবে দিবস নিয়েও সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন বারবার যাঁরা ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই বলে আক্রমণ করেছেন তাঁরা নিজেরাই জানেন না গণতন্ত্র কাকে বলে। ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাঁদের বিেজপি সরকার পাইলট কার দিচ্ছে তারপরেও তাঁদের অভিযোগ সেখানে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র মানে কী জামা-কাপড় খুলে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোকে মনে করেন তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পুরো উদ্যোমে ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক সাংসদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও তার আগের দিন সাংসদ দোলা সেনের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত দোলা সেনকে কলকাতায় ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
দিলীপকে আমন্ত্রণ মমতার
ইতিমধ্যে আবার দিলীপ ঘোষকে নবান্নে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষ তাতে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে হঠাৎ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে এভাবে নবান্নে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর ডিসেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে সরানো হতে পারে। কারণ বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দিলীপের সঙ্গে দলের একাধিক নেতার বিরোধ তৈরি হয়েছে। মুকুল রায়ের সঙ্গেও দিলীপ ঘোষের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেটা প্রকাশ্যেও এসেছিল।