আফগানিস্তানে তালিবান উত্থানের হিন্দোল সঞ্চারিত হয়েছে গোটা বিশ্বেই। ফের ২০ বছর পর সেদেশের শাসন ক্ষমতায় ফিরেছে এই উগ্রপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী। পড়ে গিয়েছে নির্বাচিত আফগান সরকার। এদিকে বর্হিবিশ্বের পাশাপাশি তালিবান উত্থানে তীব্র দোলা গেলেছে আরব বিশ্বেও। অনেকেই তালিবানদের সমর্থনে ভরিয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল। আর এই অবস্থায় কড়া ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিশ্বখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে।
এদিকে একশ্রেণির মানুষের কাছে তালিবানিরা জঙ্গি নয়, তারা আদপে পরিবর্তনকামী। কিন্তু আরও সহজ করে বললে এই মূহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে এই ধরণের আর কোনও বিতর্কেরই কোনও অবকাশ রাখা হয়নি। তালিবান গোষ্ঠীকে সরাসরি 'জঙ্গিগোষ্ঠী' তকমায় চিহ্নিত করেছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম গুলো। এখন থেকে তালিবান-সমর্থন সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের পোস্ট নিষিদ্ধ হয়ে গেল এই সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই।
স্পষ্ট ভাষায় ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে যাঁরা তালিবানের সমর্থনে তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনও পোস্ট বা মন্তব্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। একইসাথে এই নীতি ফেসবুক অধীনস্থ হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিষয়ে ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, “মার্কিন আইন অনুযায়ীই নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় ব্যবস্থা। আর সেই আইন বলেই তালিবানকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই এখন থেকে ফেসবুকে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে ফেসবুক তাদের 'বিপজ্জনক সংগঠন' হিসাবে দাগিয়ে দেওয়ার পরেও তালিবানেরা প্রায় সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারই আগের মতো করে চলেছে। কোন হেলদোল নেই সেখানে। যদিও আগামীতে ফেসবুক বা টুইটারের তরফে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এথন সেটাই দেখার। এদিকে প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবানেরা। বিদায় নিচ্ছে মার্কিন সেনার। রক্তের হোলি শেষে বর্তমানে তাই বিজয়োল্লাসে মেতেছে এই উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠন।