এখনও করোনার সেকেন্ড ওয়েভ চলে যায়নি। আর এরই মধ্যে নতুন করে ফের থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা। আর এই আশঙ্কার কারণে ক্রমশ বিধি নিষেধ বাড়ানো হচ্ছে। তবে যেভাবে পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে তাতে এই মারণ সংক্রমণ থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা কেউ জানে না। তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কার মধ্যে বিশ্বের বহুদেশে ইতিমধ্যে চতুর্থ ওয়েভের সংক্রমনের খবর সামনে আসছে।
আর এই ভাইরাসের কারণে দিনের পর দিন আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হচ্ছে। একাধিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন মারণ এই ভাইরাসের কারণে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচার শুরু হয়েছে। এবার পরীক্ষাতেও নতুন ভাবনা সামনে আসছে। এই বছর করোনার সেকেন্ড ওয়েভের কারণে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।
তবে কীসের ভিত্তিতে এই পরীক্ষা হবে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতেই অনেকটা সময় কেটে যায়। আর এই বছর থেকে হওয়া শিক্ষা থেকে পরীক্ষা নিয়ে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মনে করছে আগামী বছরও যদি করোনা পরিস্থিতি থাকে, তাহলে এই বছরে মতোই অবস্থা হবে। অর্থাৎ পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
যদিও এখনও আগামী বছরের জন্যে পরীক্ষার কোনও তারিখ প্রকাশ করা হয়নি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরিস্থিতি বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দাবি সংসদের। তবে যদি এমন প্রিস্থিতি থাকে তাহলে নতুন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। আর সেই মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ হবে বলে জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ ফেল নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। আর এই বিতর্কের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয় মহুয়া দাসকে। এই অবস্থায় সংসদের সভাপতি পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আর দায়িত্ব নিয়েই টার্গেট সেট করে ফেললেন তিনি।
চিরঞ্জীববাবু জানিয়েছেন, আগামী বছরও যদি এই অবস্থা থাকে তাহলে নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতি সামনে নিয়ে আসা হবে। তবে নয়া মু্যায়ন পদ্ধতি কি সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি। তবে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "এবার একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী বছরও একই অবস্থা থাকলে উচ্চমাধ্যমিকে কীভাবে মূল্যায়ন হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।"
তবে তাঁর মতে, "মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে।'' উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পর আগামী বছরের পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থি-তিতে সমস্ত কিছু বদলে যাচ্ছে। এতে পড়ুয়াদের মধ্যে একটা প্রভাব পড়ছে বলে মত শিক্ষাবিদদের।