আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠক
তালিবান শাসনে আফগানিস্তান। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে ভারতের এই নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চলছে বৈঠক। তাতে উপস্থিত রয়েছেন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেই বৈঠকে থাকতে পারেননি। কারণ তিনি এই মুহূর্তে আমেরিকায় রয়েছেন। আফগানিস্তান তালিবানি শাসনে থাকলে ভারতের স্ট্র্যাটেজি কী হবে তাই নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নিতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
ভারতকে হুঁশিয়ারি তালিবানদের
কাবুল দখল নেওয়ার প্রথম দিনেই ভারতকে বার্তা দিয়েছিল তালিবানরা। তারা জানিয়েছিল ভারতীয়দের কোনও ক্ষতি তালিবানরা করবে না। এবং আফগান ভূমিকে ভারতের বিরুদ্ধে তারা ব্যবহার করবে না। আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারতের সাহায্যের প্রশংসাও করেছিল তালিবানরা। তবে এই প্রশংসার সঙ্গে একটি হুমকিও দিয়ে রেখেছিল তারা। ভারতীয় সেনা আফগািনস্তানে এলে তারা ছেড়ে কথা বলবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছিল।
ডোভালের বক্তব্য
তালিবানি শাসনে একাধিক রাষ্ট্র নতুন করে সন্ত্রাসবাদের সিঁদুরে মেঘ দেখছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডোভাল জানিয়েছে,অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা। তিনি বলেছেন খবর দ্রুত সব পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে তালিবানে। তবে কোন পথে তালিবানরা সেখানে সরকার গড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানে আটকে ভারতীয়দের সবরকম ভাবে উদ্ধার করা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজই বায়ুসেনার বিমানে ১৩০ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে আনা হয়েছে কাবুল থেকে। তাতে কাবুলে ভারতের দূতও ছিলেন। এমনকী গুজরাতের জুনাগড়ে আরও একটি বিমানে ১৫০ জন ভারতীয় কাবুল থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনতে কোনও রকম কসুর করবে মোদী সরকার সেটা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভারতে ফিরতে চেয়ে আবেদন
জানা গিয়েছে ১৬৫০ জন ভারতে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। কাবুলের দূতাবাস কাজ করছে সেখানকার কর্মীরা। ভারতীয়দের সেখান থেকে আনতে যাঁরা সাহায্য করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিেদশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। কোন পথে এগোচ্ছে গোটা পরিস্থিতি সেদিকে নজর রাখছে ভারত। প্রতিমুহূর্তের খবর নেওয়া হচ্ছে।